কলকাতা: মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম থানায় পুলিশি হেফাজতে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। গত মাসে মারা যান গোবিন্দ ঘোষ নামে এক ব্যক্তি। এই মৃত্যুর ঘটনায় নবগ্রাম থানার পুলিশকর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করল সিআইডি। রবিবার নবগ্রাম থানার কনস্টেবল ও সিভিক ভলান্টিয়ার মিলিয়ে ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাঁদের বয়ানও রেকর্ড করা হয় মুর্শিদাবাদ জেলা সিআইডি দফতরে। সোমবার অর্থাৎ আগামিকাল থানার মহিলা পুলিশকর্মীদের তলব করা হয়েছে।
সিআইডি সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই ঘটনার সময় উপস্থিত নবগ্রাম থানার পুলিশকর্মীদের তালিকা সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা। হাইকোর্টের নির্দেশেই এই মামলার তদন্ত এগোচ্ছে। ইতিমধ্যেই তিনজন সাব ইন্সপেক্টর-সহ ঘটনার সময় উপস্থিত অফিসারদের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। প্রত্যেকের বয়ানের ভিডিয়ো রেকর্ডও করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, মৃত গোবিন্দ ঘোষকে অবৈধভাবে তুলে থানায় নিয়ে আসা হয়েছিল বলে থানার পুলিশকর্মীরা বয়ানে স্বীকারও করেছেন।
নবগ্রামের সিঙ্গার গ্রাম। সে গ্রামেরই বাসিন্দা ছিলেন গোবিন্দ ঘোষ। তাঁকে পুলিশি লকআপে পিটিয়ে মারার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ ছিল, জিজ্ঞাসাবাদের নামে তিনদিন ধরে গোবিন্দকে থানায় আটকে রাখে নবগ্রাম থানার পুলিশ। এরপর ৪ অগস্ট রাতে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। এই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ লকআপে মারধর করে। তাতেই মারা যান গোবিন্দ। পুলিশের বিরুদ্ধে কার্যত ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার লোকজন। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়ার পথে বাধার মুখে পড়ে পুলিশ। ব্যাপক ধস্তাধস্তিও হয়। সেই ঘটনার তদন্ত শুরু করে সিআইডি। এবার পুলিশকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করল তারা।