Kamduni Case: নির্ভয়াকাণ্ডের আইনজীবীকে কামদুনি মামলায় চাইছেন টুম্পা-মৌসুমীরা

Kamduni Case: কামদুনির প্রতিবাদী মুখ টুম্পা-মৌসুমীরা চাইছেন, নির্ভয়াকাণ্ডে যে আইনজীবী আদালতে সওয়াল করেছিলেন, যিনি মামলা লড়ায় দোষীদের সাজা হয়েছিল, সেই আইনজীবীকে দিয়েই কামদুনি মামলা লড়তে। আইনি লড়াইয়ে সাহায্য পেতে সোমবার সন্ধেয় বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গেও দেখা করেন টুম্পা কয়াল, মৌসুমী কয়ালরা।

Kamduni Case: নির্ভয়াকাণ্ডের আইনজীবীকে কামদুনি মামলায় চাইছেন টুম্পা-মৌসুমীরা
মৌসুমী কয়াল ও টুম্পা কয়ালImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: Soumya Saha

Oct 09, 2023 | 11:35 PM

কলকাতা: কামদুনি মামলায় হাইকোর্টের রায়ের পর হতাশ টুম্পা কয়াল, মৌসুমী কয়ালরা। নিম্ন আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়া চারজন, হাইকোর্টের রায়ে আজ মুক্তি পেয়েছে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে। এদিকে কামদুনি মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে রাজ্য। কামদুনির প্রতিবাদী মুখ টুম্পা-মৌসুমীরা চাইছেন, নির্ভয়াকাণ্ডে যে আইনজীবী আদালতে সওয়াল করেছিলেন, যিনি মামলা লড়ায় দোষীদের সাজা হয়েছিল, সেই আইনজীবীকে দিয়েই কামদুনি মামলা লড়তে। আইনি লড়াইয়ে সাহায্য পেতে সোমবার সন্ধেয় বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গেও দেখা করেন টুম্পা কয়াল, মৌসুমী কয়ালরা।

শুভেন্দুর সঙ্গে আলোচনা শেষে মৌসুমী বললেন, “আমরা চাইছি যে উকিল নির্ভয়াকাণ্ডে লড়াই করেছিলেন, দোষীদের ফাস্টট্র্যাক কোর্টে সাজা হয়েছিল, সেই উকিলকেই আমি ওনার কাছে চেয়েছি।” এদিকে আজ রাতেই প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে কামদুনিকাণ্ডের চারজন ছাড়া পেয়েছে। সেই নিয়েও হতাশা ঝরে পড়ছে টুম্পা-মৌসুমীদের গলায়। কাঁদতে কাঁদতে বললেন, “রাজ্যের প্রশাসন, সিআইডি কিছু করতে পারল না। সবাই ছাড়া পেয়ে গিয়েছে। সিআইডি যদি ঠিকঠাক চার্জশিট পেশ করত, এরা আজ ছাড়া পেত না। পুলিশ-প্রশাসন সবাই ব্যর্থ।”

কামদুনি মামলায় সিআইডির তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে একরাশ হতাশা আজ টুম্পা-মৌসুমীদের গলায়। কান্না আজ বাঁধ মানছে না তাঁদের। টুম্পা দাবি তুলছেন, সিবিআই তদন্তের। বলছেন, “অবশ্যই আমরা সিবিআই তদন্ত চাইছি। এরপর গ্রামবাসীদের অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে। রাজ্য সরকারের কাছে আমরা যে সুবিচার চেয়েছিলাম, তা আমরা পাইনি।”

টুম্পা জানাচ্ছেন, তিনি নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। বলছেন, “২০১৬ সালের পর থেকে পুলিশ ক্যাম্প দেখতে পাইনি। এখন দেখছি দু-একজন পুলিশ আছে। আমরা পুরোপুরি নিরাপত্তা পাচ্ছি না। আমাদের কোনও নিরাপত্তা দরকার নেই, শুধু গ্রামবাসীদের নিরাপত্তা দিক।”