কলকাতা: ‘বিয়ে নয়, লিভ-ইনে ছিলাম, তাই বিবাহ বিচ্ছেদের প্রশ্নই ওঠে না।’ নিখিল জৈনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে এমনই দাবি করেছেন তৃণমূলের তারকা সাংসদ নুসরত জাহান। যা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। কারণ, নিখিল জানিয়েছেন মাস কয়েক আগেই নুসরতের সঙ্গে সম্পর্ক অবনতি হওয়ার পরপরই তিনি আদালতে দেওয়ানি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার শুনানি আগামী মাসেই। এই প্রেক্ষিতে সাংসদ নুসরতের লোকসভা ওয়েবসাইটে জমা দেওয়া তথ্য আবার ভিন্ন কথা বলছে।
লোকসভা ওয়েবসাইটে গিয়ে বসিরহাটের সাংসদের নাম ক্লিক করলেই উঠে আসছে, নুসরত জাহান বিবাহিত। তাঁর স্বামীর নাম নিখিল জৈন এবং তাঁদের বিয়ের তারিখ হল ২০১৯ সালের ১৯ জুন।
প্রসঙ্গত, নুসরত ও নিখিলের বিয়ে হয়েছিল তুরস্কে। সেই ‘ডেস্টিনেশন ম্যারেজ’ নিয়ে নুসরত বুধবার জানিয়েছেন, সে দেশের নিয়ম মেনে তাঁদের বিয়ে হলেও ভারতীয় আইনের স্পেশ্যাল ম্যারেজ অ্যাক্টের আওতায় তা পড়ে না। নুসরতের কথায়, “অনেকদিন আগে আমরা আলাদা হয়ে গিয়েছি। আমি এটা নিয়ে কথা বলিনি। কারণ ব্যক্তিগত জীবন ব্যক্তিগতই রাখতে চেয়েছি। সুতরাং আমার কোনও কাজ সেপারেশনের নিরিখে প্রশ্ন করা উচিত নয়। আইনের চোখে আমাদের বিয়েই হয়নি।”
এখন প্রশ্ন হল, সংসদে তাহলে কেন নিজেকে বিবাহিত বলে পরিচয় দিয়েছেন নুসরত? সাংসদের নিজের দেওয়া তথ্যই লোকসভার ওয়েবসাইটে থাকে। সেখানে কিন্তু জ্বলজ্বল করছে তিনি বিবাহিত। আবার সাংসদ পদে শপথ নেওয়ার সময়ও নিজের পদবির সঙ্গে নিখিল জৈনের পদবি উল্লেখ করেছিলেন তিনি। জানিয়েছিলেন, তিনি ‘নুসরত জাহান রুহি জৈন’। কিন্তু সংসদের নথির তথ্য আর বুধবারের নুসরতের বিবৃতি মিলছে না। আর এতেই তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি।
আরও পড়ুন: ‘স্বীকার করে নিলেই ভাল, মহত্ত্ব বাড়ে’, সম্পর্ক ভাঙনে নুসরতকে ‘পরামর্শ’ সৌমিত্রর
অবশ্য, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের নির্বাচনী হলফনামায় নিজেকে অবিবাহিত বলে জানিয়েছিলেন নুসরত। আর সংসদে দেওয়া যে তথ্য দেখা যাচ্ছে তা নির্বাচনের পর!