‘নারদ মামলায় নাম থাকার কথা হলফনামায় গোপন করেছেন মুকুল’, অভিযোগ তুলে সরব তৃণমূল

May 19, 2021 | 7:57 PM

নারদ মামলায় চার নেতার গ্রেফতারির পর থেকেই মুকুল ও শুভেন্দুকে নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলছে তৃণমূল

নারদ মামলায় নাম থাকার কথা হলফনামায় গোপন করেছেন মুকুল, অভিযোগ তুলে সরব তৃণমূল
অলংকরণ - অভীক দেবনাথ

Follow Us

কলকাতা: ভোটের পর নতুন মোড় নিয়েছে নারদ মামলা। বছর পাঁচেক পুরনো এই মামলায় তৎকালীন শাসক দলের একাধিক নেতা-মন্ত্রীকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল। গত সোমবার আচমকা নাটকীয় মোড় নেয় সেই মামলা। গ্রেফতার হন রাজ্যের দুই মন্ত্রী-সহ চার নেতা। গ্রেফতারির তালিকায় কেন মুকুল রায় ও শুভেন্দু অধিকারীর নাম নেই, তা নিয়ে সে দিন থেকেই সওয়াল করছে তৃণমূল। এবার ঘাসফুল শিবিরের তরফে অভিযোগ, হলফনামায় এই মামলার কথা উল্লেখই করেননি বিজেপি বিধায়ক মুকুল। এই অভিযোগে বিধায়ক পদ খারিজ করার আর্জি জানিয়েছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।

বুধবার মুকুল রায়ের নির্বাচনী হলফনামা প্রকাশ্যে এনে এই দাবি করেছেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘মুকুল রায় নারদ মামলা চেপে গেলেন কেন? যেখানে এফআইআরে তাঁর নাম আছে, সেখানে এই কাজ করলেন কীভাবে?’ কুণালের দাবি, এভাবে জনসমক্ষে মুকুল দেখিয়ে দিলেন মামলায় নাম থাকা সত্ত্বেও তা এড়িয়ে যাচ্ছেন তিনি।’ তবে শুভেন্দু তথ্য গোপন করেছেন কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয় বলে জানান কুণাল ঘোষ। তিনি আরও বলেন, ‘এইভাবে হলফনামায় তথ্য গোপন করা দুর্নীতির মধ্যে পড়ে। মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ অবিলম্বে খারিজ হওয়া উচিত। উনি ইস্তফা দিন।’

নারদ স্টিং অপারেশনে মুকুল রায়কেও টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল। এই মামলায় সিবিআই যে এফআইআর করে, তাতে স্বাভাবিকভাবেই নাম ছিল তৎকালীন তৃণমূল নেতা মুকুল রায়ের। তাঁকে সিবিআই দফতরে তলবও করা হয়েছিল। পরে শিবির বদল করে বিজেপিতে যোগ দেন মুকুল রায়। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়ে বিধায়কও হয়েছেন তিনি। এরই মধ্যে গত সোমবার পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, বিধায়ক মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর তারপরই মুকুল-শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মুখ খুলেশে শাসকল দল। তৃণমূলের দাবি, বিজেপিতে গিয়েই মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: ৩ হেভিওয়েটের হাসপাতালে ভর্তির আদৌ প্রয়োজন আছে? এবার নিজস্ব মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করল সিবিআই

উল্লেখ্য, সোমবার ওই গ্রেফতারির পর খোদ নারদ কর্তা ম্যাথু স্যামুয়েলও প্রশ্ন করেন, স্টিং অপারেশনে শুভেন্দু অধিকারীর ছবি থাকা সত্ত্বেও তাঁকে কেন গ্রেফতার করা হল না। তিনি বলেন, ‘শুভেন্দুর কী হল? শুভেন্দুও আমার কাছ থেকে টাকা নিয়েছিল। সেই ফুটেজও আমি সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছি। বিচার সবার জন্য সমান হওয়া উচিত।’

Next Article