Municipal Corporation Election 2022: পিছিয়ে গেল বাইশের ভোট, চার পুরনিগমে ১২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের দিন ঘোষণা কমিশনের

West Bengal Municipal Elections 2022: তবে ২৭ ফেব্রুয়ারি পুরসভাগুলির যে বকেয়া ভোট তা হবে বলেই এখনও অবধি সিদ্ধান্ত রয়েছে।

Municipal Corporation Election 2022: পিছিয়ে গেল বাইশের ভোট, চার পুরনিগমে ১২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের দিন ঘোষণা কমিশনের
পিছিয়ে গেল পুরভোট। ফাইল ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 15, 2022 | 2:52 PM

কলকাতা: অবশেষে পিছিয়ে গেল চার পুরনিগমের ভোটের দিন। শনিবারই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, আদালতকে সম্মান জানিয়েই তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২২ জানুয়ারি ভোট হওয়ার কথা ছিল। তা পিছিয়ে ১২ ফেব্রুয়ারি করা হল। শনিবার এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কমিশন। তবে ২৭ ফেব্রুয়ারি ১০৮টি পুরসভার যে বকেয়া ভোট তা হবে বলেই এখনও অবধি সিদ্ধান্ত রয়েছে। কারণ, এ নিয়ে এখনও রাজ্য নির্বাচন কমিশন এখনও কিছু বলেনি।

কোভিড কাঁটায় তিন সপ্তাহ পুরনিগমের ভোট পিছিয়ে দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ১২ ফেব্রুয়ারি ভোট হবে। তবে এই ভোটে নতুন করে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে না বলেই জানিয়েছে কমিশন। আদালতের নির্দেশে, রাজনৈতিক দলের মতামত শুনে রাজ্যের সঙ্গে কথা বলে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে বক্তব্য, কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে সম্মান জানিয়েই তারা এই সিদ্ধান্ত নিল। ভোটের দিন পিছিয়ে গেলেও নতুন করে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার যেমন কোনও বিষয় নেই, একইভাবে কমিশন জানিয়েছে, এই সময় অবধি প্রচার চালাতে পারবে রাজনৈতিক দলগুলি। অর্থাৎ ১২ ফেব্রুয়ারির ৭২ ঘণ্টা আগে পর্যন্ত ভোটের প্রচার চালানোয় কোনও বাধা নেই।

কমিশন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানিয়েছে, চার জেলার চার পুরনিগমে ভোটগ্রহণ হবে ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২। দার্জিলিং জেলার শিলিগুড়ি পুরনিগম, হুগলি জেলার চন্দননগর পুরনিগম, উত্তর ২৪ পরগনার বিধাননগর পুরনিগম ও পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল পুরনিগমে এদিন ভোট হবে। সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হবে। চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

নিঃসন্দেহে ভোটের দিন পিছিয়ে যাওয়ায় ভোট প্রচারের অনেকটা সময় পাচ্ছেন প্রার্থীরা। তবে এখানেও প্রশ্ন তুলছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। ভোট প্রচার মানেই বহু মানুষের জমায়েত। তেমনটা হলে সংক্রমণ আটকানোর যে প্রয়াস তা কি আদৌ সম্পূর্ণ হবে? কমিশন সূত্রে খবর, কড়াভাবে এ বিষয়ে তারা নজরদারি চালাচ্ছে। ইতিমধ্যেই শো-কজ নোটিস পর্যন্ত পাঠানো হয়েছে কাউকে কাউকে। প্রচারের গাইডলাইনও ঠিক করে দিয়েছে কমিশন। তা মেনে প্রচার চালাতে দায়বদ্ধ রাজনৈতিক দলগুলি।

প্রসঙ্গত, শনিবার সকালেই নবান্নের তরফে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে জানানো হয় কমিশন চাইলে ভোট পিছিয়ে দেওয়ায় আপত্তি নেই তাদের। যদিও একইসঙ্গে রাজ্যের বক্তব্য ছিল, করোনা মোকাবিলায় সবরকম ব্যবস্থা তারা করছে। তবে ভোট পিছিয়ে দেওয়ার দাবি আগেই তুলেছে বিরোধীরা। এমনকী রাজ্যের এদিন চিঠি দেওয়া নিয়েও চরম কটাক্ষের সুর শোনা যায় বাম-কংগ্রেস নেতাদের গলায়।

সিপিএম নেতা বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, “আদালতের নির্দেশে স্পষ্ট ভোট পিছিয়ে দিতে হবে। যে কাজটা সরকারের করা উচিৎ ছিল সেটা আদালতে গিয়ে করাতে হচ্ছে। এখন রাজ্য চিঠি দিল কি না দিল তার কোনও আলাদা গুরুত্ব আমি দেখি না। এটা তো করতেই হবে।” অন্যদিকে অধীর চৌধুরীর বক্তব্য, “রাজ্য মনে করলে ভোট করতে পারে। রাজ্য মনে করলে ভোট না করাতে পারে। মাঝখান থেকে নির্বাচন কমিশনকে এগিয়ে দিয়ে বলি পাঁঠা করার কোনও মানেই নেই।”

আরও পড়ুন: Governor Jagdeep Dhankhar: ২৪ থেকে বেড়ে ২৫! কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে এবার সরব রাজ্যপাল