নয়া দিল্লি: পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলা সুপ্রিমকোর্ট থেকে প্রত্যাহার করে নিল রাজ্য সরকার। পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে আগেই সিবিআই এবং ইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। প্রাথমিকভাবে ২ জুন অবসরকালীন বেঞ্চে এই মামলা উল্লেখ করেন রাজ্য সরকারের আইনজীবী। শীর্ষ আদালতের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, ছুটির পর রেগুলার কোর্টে এই মামলা মেনশন করতে হবে। কিন্তু সোমবার রাজ্য সরকারের আইনজীবী নিজেই মামলা প্রত্যাহার করে নেন।
শিক্ষায় দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত চলছিল। সেই মামলাতেই গত ১৯ মার্চ গ্রেফতার হয়েছিলেন অয়ন শীল। আর তাঁকে জেরা করতে করতেই উঠে আসে পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত হাজারও দুর্নীতির তথ্য। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পুর নিয়োগ মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরে অবশ্য শীর্ষ আদালতের নির্দেশেই সেই মামলার বেঞ্চ বদল হয়। এই মামলাটি বর্তমানে কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে বিচারাধীন।
তাতে অবশ্য রায়ে কোনও পরিবর্তন হয়নি। অর্থাৎ বিচারপতি অমৃতা সিনহাও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশই বহাল রাখেন। অর্থাৎ এই মামলায় দুটি কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি ও সিবিআই সমান্তরালভাবে তদন্ত করছে। মামলা চলাকালীন তারা সুপ্রিম কোর্টেও স্পেশ্যাল লিভ পিটিশন (এসএলপি) দায়ের করে।
কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের আগেই রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে শুনে বিচারপতি অসন্তুষ্ট হন। রাজ্যকে ভর্ৎসনাও করেন। রাজ্যকে ভর্ৎসনা করে বিচারপতি বলেন, ‘‘হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ থেকে সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে এসএলপি করলেন। এটা কী ধরনের অবস্থান? বিনা পয়সায় মামলা হচ্ছে? কাদের টাকায় এই মামলা হচ্ছে?’’ এরপরই সুপ্রিম কোর্ট থেকে মামলাটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। হাইকোর্ট তারপরও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বহাল রাখেন। সেই নির্দেশ শোনার পর একই মামলায় দ্বিতীয় বার সুপ্রিম কোর্টে এসএলপি করে রাজ্য। এবার সেটিও প্রত্যাহার করে নিল রাজ্য।