কলকাতা: ভবানীপুর জোড়া খুন কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে আরও এক জনকে। ধৃতের নাম সন্তোষ কুমার পতি। সে জিঞ্জিরাবাজার এলাকার বাসিন্দা। তাকে ওড়িশার জাজপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় রাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে বিশাল নামে এক যুবককে। তাকে উত্তরপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার করা হয়। বিশালকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই উঠে আসে সন্তোষের নাম। জানা যাচ্ছে, খুনের সময়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল তারা। তবে এই ঘটনায় এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত দীপেশ। দীপেশই তাদের নিয়ে এসেছিল বলে জানা গিয়েছে।
আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত সমস্যার জেরেই খুন হতে হয়েছে গুজরাটি দম্পতিকে। সিপি নিজেই স্পষ্ট করেছেন খুনের মোটিভ। ঘটনার তিন দিনের মধ্যে তিন জনকে প্রথমে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃত তিন জনের নাম রত্নাকর নাথ, সুবোধ সিংহ ও যতীন মেহতা।
জানা যায়, ঘটনার মূল অভিযুক্ত দীপেশ নিহত ব্যবসায়ী অশোক জে শাহর মেজো জামাইয়ের বন্ধু। দীপেশ ২০১৯ সালে অশোকের কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিলেন। কিছু টাকা শোধ করেছিলেন তিনি। কিছু টাকা বাকি ছিল। সেই টাকা ফেরত চেয়েছিলেন অশোক। তা নিয়েই বচসা।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল জানান, আরও কয়েক জনকে সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, চার জন ফ্ল্যাটে ঢোকে। প্রথমে তাদের মধ্যে বচসা হয়। তারপরই দম্পতিকে খুন করে লুঠ করে পালায় দুষ্কৃতীরা। ঘরের ভিতর বিভিন্ন জিনিস লণ্ডভণ্ড ছিল।
প্রসঙ্গত গত সোমবার ভবানীপুরের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় গুজরাটি দম্পতি অশোক জে শাহ ও রশ্মিতা শাহর দেহ। তার একদিন পরই ঘটনাস্থলে যান মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আগেই ইঙ্গিত ছিলেন, এই কাজ কোনও পরিচিতর। পরে পুলিশি তদন্তে সেই প্রমাণিত হতে থাকে.