সুপ্রিয় গুহ ও সত্যজিৎ মণ্ডলের রিপোর্ট
কলকাতা: কলকাতা পুলিশের ASI শঙ্কর চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু ঘিরে রহস্য। ঘটনা রিজেন্ট পার্ক থানার নিউ টালিগঞ্জ এলাকার। আলিপুর থানার এএসআই ছিলেন শঙ্কর। বৃহস্পতিবার সকালে শঙ্করবাবুর মৃত্যুর খবর জানতে পারেন প্রতিবেশীরা। বাড়তে থাকে ক্ষোভ। এলাকায় উত্তেজনাও তৈরি হয়। বৃহস্পতিবারই প্রতিবেশীদের একাংশ অভিযোগ করে, অসুস্থ শঙ্করকে খুন করেছে স্ত্রী-পুত্র। কয়েকদিন আগেই মেরে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁদের। পাশাপাশি প্রায় মারধর করতো মা-ছেলে। এমনকী গত দু’দিন আগে প্রকাশ্য রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়েছিল বলে জানান তাঁরা। ঘটনাকে কেন্দ্র কের বাড়তে থাকে চাপানউতোর।
প্রতিবেশীদের আরও দাবি, গতকাল দিনভর পরিবারের তরফে চেষ্টা করা হয়েছে যেভাবে হোক একটা ডেথ সার্টিফিকেট জোগাড় করার। প্রাথমিকভাবে প্রতিবেশীরা রুখে দাঁড়ালে পুলিশও তাদের সহায়তা করেনি বলে দাবি। তারপর বিষয় জানাজানি হতেই পিছু হটে তারা। সোজা কথায়, রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকার বাসিন্দা ওই পুলিশকর্মী বৃহস্পতিবার মারা গিয়েছেন একথা মানতে নারাজ প্রতিবেশীরা। তাঁদের অভিযোগ, মঙ্গলবার বাড়ির বাইরে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয় শঙ্করকে। তবে সেদিনই প্রথম নয়, দীর্ঘদিন থেকেই অমানবিক অত্যাচার করা হত অসুস্থ ওই পুলিশকর্মীর ওপর। বাড়ির প্রমোটিং সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বাড়িতে ঝামেলা হতো, সে কারণেই মারধর করা হত বলে অনুমান প্রতিবেশীদের।
প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, মঙ্গলবারের পর থেকেই আর তাঁকে কেউ এলাকায় দেখতে পাননি। এমনকী বৃহস্পতিবার যখন দেহ উদ্ধার হয় তখন দেহে পচন ধরে গিয়েছিল বলে দাবি প্রতিবেশীদের। বৃহস্পতিবার রাতে ১০০ নম্বরে ফোন করে পুলিশের জানায় এক প্রতিবেশী। পুলিশ পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে ময়নতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেয়। পুলিশ সূত্রে খবর অসুস্থ শঙ্কর চিকিৎসার কারণে ছুটি নিয়ে বাড়িতে ছিলেন। অসুস্থতাজনিত কারণে মৃত্যু, নাকি মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে এলেই স্পষ্ট হবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তবে এখনও পর্যন্ত এ ঘটনায় পুলিশের কাছে কোনও লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি বলে জানা যাচ্ছে। তবে তাঁর দেহে বেশ কিছু আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাওয়া গিয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে।