কলকাতা: প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করতে পারে সিবিআই। এই আশঙ্কায় কলকাতা হাইকোর্টে আগাম জামিনের আর্জি জানিয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ প্রসাদ ওরফে কালীঘাটের কাকু। সেই মামলায় এখনই কোনও নির্দেশ দিল না হাইকোর্ট। তিন সপ্তাহ পর ফের মামলা শুনবে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চ। তবে আপাতত সুজয় ভদ্রের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নয় বলে মৌখিকভাবে জানালেন বিচারপতিরা। শুক্রবার এই মামলার শুনানিতে সিবিআইকেও তীব্র ভর্ৎসনা করল হাইকোর্ট।
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ২০২৩ সালের ৩০ মে সুজয় ভদ্রকে গ্রেফতার করে ইডি। গ্রেফতারির পর দীর্ঘদিন এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন কালীঘাটের কাকু। বর্তমানে জেলে রয়েছেন তিনি। এবার তাঁকে হেফাজতে নিতে আদালতে আবেদন জানিয়েছে সিবিআই। তারপরই আগাম জামিন চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কালীঘাটের কাকু।
সেই আবেদনের শুনানিতে এদিন সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠে হাইকোর্টে। নিম্ন আদালতে প্রোডাকশন ওয়ারেন্টের আর্জি জানানোর পরই শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে। এতেই ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট। যে পদ্ধতিতে সিবিআই শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়েছে, তা নিয়ে ভর্ৎসনা করে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী বলেন, “সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার (আইও) কি লোকাল পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর? নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করা আইও কি এটাও জানেন না? অভিযুক্তকে কি সাহায্য করতে চাইছেন? আইওয়াশ হচ্ছে? বাদ দিয়ে দিন এইসব অফিসারদের।”
হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, এই নিয়ে সিবিআইয়ের আইও ওয়াসিম আক্রম খানকে ২ সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দিতে হবে। তিন সপ্তাহ পর ফের কালীঘাটের কাকুর আগাম জামিনের আবেদনের শুনানি হবে। ততদিন সুজয় ভদ্রের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নয় বলে মৌখিকভাবে জানিয়েছে হাইকোর্ট।