Na Bollei Noy: মমতার হুঙ্কারের পরই সক্রিয় ইডি! রাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও জাতিসত্ত্বায় প্রাধান্য! যে কথা ‘না বললেই নয়’

TV9 Bangla Digital | Edited By: অংশুমান গোস্বামী

Jul 22, 2022 | 6:00 PM

ধরুন, দ্রৌপদী যদি মুর্মু না হয়ে যদি শর্মা হতেন, তাহলে? তাহলে কি, দ্রোপদী রাষ্ট্রপতি ভবন পর্যন্ত পৌঁছতেন?

Na Bollei Noy: মমতার হুঙ্কারের পরই সক্রিয় ইডি! রাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও জাতিসত্ত্বায় প্রাধান্য! যে কথা ‘না বললেই নয়’

Follow Us

কলকাতা: ভালবাসা ও যুদ্ধে সব কিছুই সঙ্গত। অরণ্যের প্রাচীন প্রবাদের মতোই, এই লাইনের মান-সম্মান, কুলীন লব্জ। কিন্তু, ভালবাসা ও যুদ্ধের পরিসর ডিঙিয়ে, রাজনীতির আঙিনাতেও কি সব কিছু ন্যায়সঙ্গত? দেখে শুনে মনে হচ্ছে, যথেষ্টই। ভালবাসা ও যুদ্ধের আড়ালে যেমন আছে নানাবিধ জটিল অঙ্ক, স্ট্র্য়াটেজি, কূটনীতি। সেগুলো তো সবই রাজনীতিতেও বর্তমান। তাই, ভালবাসা ও যুদ্ধের মতোই রাজনীতিতেও সব কুছ চলতা হ্যায়। এই যেমন, গতকাল ধর্মতলার মোড়ে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় হুঙ্কার দিলেন, ঝুকেগা নেহি। তৃণমূল সরকারকে হারানো যাবে না। অমনি, কথাটা গায়ে মেখে নিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা! আজ সকাল, সকাল শুরু হয়ে গেল কার্পেট বম্বিং।

রাজ্যের এমাথা থেকে ওমাথা। পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে পরেশ অধিকারী। মানিক ভট্টাচার্য থেকে কল্যাণময় হয়ে রত্না বাগচি। শান্তিপ্রসাদ সিনহা থেকে চন্দন মণ্ডল। এসএসসি থেকে টেট, যাবতীয় শিক্ষক নিয়োগ মামলায় ইডি নেমে পড়ল। মন্ত্রী-সান্ত্রীদের বাড়িতে তল্লাশি! বিরোধীরা মুচকি হাসছে, শাসক দাঁত কিড়মিড় করছে। মন্ত্রী পরেশ অধিকারী তো বলেছেন, বাড়িতে থাকলে ইডি আধিকারিকদের না কি মুড়ি খাওয়াতেন। কে, কাকে কী খাইয়েছেন, এই জানতেই তো তদন্ত! দুর্নীতির অভিযোগের নিষ্পত্তি হওয়ার আগে, রাজনৈতিক নেতাদের এই ঢিল ছুঁড়লে পাল্টা পাটকেল দেওয়ার মাঝে, হাপিত্যেশ করে মরছে চাকরিপ্রার্থীরা। বেকার যুবক-যুবতীদের একটাই প্রশ্ন, রাজনৈতিক চাপানউতোর তো অনেক হল, চাকরি মিলবে কি?

প্রশ্ন আরেকটা আছে। হোয়াটস ইন আ নেম? নামে কি আসে যায়? আসে, যায় বই কি। ধরুন, দ্রৌপদী যদি মুর্মু না হয়ে যদি শর্মা হতেন, তাহলে? তাহলে কি, দ্রোপদী রাষ্ট্রপতি ভবন পর্যন্ত পৌঁছতেন? স্বাধীনতার পঁচাত্তর বছরে, দেশের প্রথম নাগরিকের জাতিসত্ত্বা নিয়ে এত হইচই! বড্ড চোখে লাগছে না! দেশ, কাল, সময়, সমাজ, মানুষ, এই সবকিছুকে নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করছে না? যেভাবে বিরোধী পরিসরে নিজের মতো করে ঘুটি সাজাচ্ছে তৃণমূল। প্রতি মুহূর্তে নিজেদের লাভ-ক্ষতির অঙ্ক কষছে, শর্ত চাপাচ্ছে, শর্ত ভাঙছে, তাতে মোদী বিরোধী মুখ বলে কি আর কিছু অবশিষ্ট আছে? বিরোধী রাজনীতি কি লোকহাসানোর সার্কাস হয়ে যাচ্ছে, ক্রমশ? ভাবনার গোড়ায় শান দিতে রাত ৮.৫৭, চোখ রাখুন টিভি নাইন বাংলায়। সেই কথাগুলো হবে, যে গুলো না বললেই নয়।

Next Article