Na Bollei Noy: ষষ্ঠীর সকালেও রাস্তার পাশে হকের দাবিতে বসে ওঁরা, দুর্গা এবার দুর্নীতিনাশিনী হয়ে এলে… যে কথাগুলো আজ ‘না বললেই নয়’

Na bollei Noy: রাত ৮.৫৭। TV9 বাংলায় দেখবেন, 'না বললেই নয়'।

Na Bollei Noy: ষষ্ঠীর সকালেও রাস্তার পাশে হকের দাবিতে বসে ওঁরা, দুর্গা এবার দুর্নীতিনাশিনী হয়ে এলে... যে কথাগুলো আজ 'না বললেই নয়'
'না বললেই নয়' দেখুন TV9 বাংলায়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 01, 2022 | 6:22 PM

চিতা এসেছিল ১৫ দিন আগে। ১৫ দিন পর দেশে 5G পরিষেবা চালু হয়ে গেল। আমাদের আর পায় কে! হ্যাঁ, কেউ কেউ বলবেন 4G পরিষেবা থেকে 5G-তে আসতে এক যুগ পেরিয়ে গেল। সেটা বড় কথা নয়। বড় কথা হল 5G এসে গেছে। অতএব আরও দ্রুত, আরও কম সময়ে ইন্টারনেট সার্ফিং সেরে ফেলা যাবে। একটা উদাহরণ দিই। ধরুন আপনি একটা ৩ ঘণ্টার সিনেমা ডাউনলোড করবেন। সময় লাগবে মাত্র ১৫ মিনিট। কারণ, 5G-র কল্যাণে ডাউনলোডিং বা আপলোডিং-এ বাফারিং আর থাকবে না বলেই আশা করা যায়।

এই আশা জিনিসটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কালক্রমে প্রমাণিত হয়েছে, আশায় শুধু চাষা নয়, প্রত্যেকটা মানুষ বাঁচে। আমরা আশা করছি 5G সত্যিই সত্যিই 5G-র মতো স্পিডে পাব। আচ্ছা এই যে 5G এল, এবার আমার আপনার সব সমস্যা কি এই 5G স্পিডেই তাহলে দূর হবে? মানে ধরুন, বকেয়া ডিএ নিয়ে কালবিলম্ব না করে, মামলা-মোকদ্দমায় না জড়িয়ে রাজ্য কি সরকারি কর্মী এবং পেনশনার্সদের প্রত্যাশা পূরণ করবে? বা আপনার একটা কাজ করানোর জন্য আপনাকে কাউকে মিষ্টি পর্যন্ত খাওয়াতে হল না। অথচ আপনার কাজটা হয়ে গেলে দ্রুত, একদম 5G স্পিডে। এমন হবে কি? পাড়ার নেতা থেকে বেপাড়ার দাদা কাউকে খুশি না করেই আপনি কি বিল্ডিং প্ল্যান পাশ করিয়ে নিতে পারবেন? এই সব কিছুই যদি ওই ইন্টারনেটের 5G স্পিডে হয়, তা হলে বুঝব কিছু একটা হল।

না হলে, মনে মনে কদিন ধরে যে কথাটা ঘুরপাক খাচ্ছে, সেটাই আরও জোরদার হবে। মনে হবে, এপ্রিল নয়। অক্টোবর, ইজ দ্য ক্রুয়েলেস্ট মান্থ। ব্রিটিশ কবি এলিয়ট এই অক্টোবরের কলকাতা দেখলে হয়তো মত বদলাতেন। ক’দিন ধরেই একটা অস্বাভাবিক গরম। ঘাম হচ্ছে বেশি। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী পুজোয় বৃষ্টির সম্ভাবনাও জোরালো। কিন্তু আবহাওয়ার কারণে নয়। অক্টোবরই বলুন বা আশ্বিনই বলুন। এই সময়টাকে নির্দয়, নিষ্ঠুর মনে হচ্ছে দুর্নীতির কারণে।

এখন উত্‍সবের সময়। আনন্দের সময়। তবুও দুর্নীতিকে অস্বীকার করা যাচ্ছে না। কারণ, এমন শারদীয়া বাংলা আগে দেখেনি। দাঙ্গা, যুদ্ধ, মন্বন্তর, মহামারী যাই আসুক, এমন পুজো এ রাজ্যের কপালে আগে কখনও জোটেনি। কারণ, সমস্ত অন্যায়, সমস্ত অবিচার মুখ বুজে মেনে নেওয়া আকারে ছোট, বহরে বড় বাঙালি সন্তান, এমন প্রতিবাদ আগে কখনও দেখেনি। সেই প্রতিবাদের স্নায়ুর জোর এতটাই যে ষষ্ঠীর সকালেও রাস্তার পাশে হকের দাবিতে বসে পড়তে দু’বার ভাবেনি। পুজোর আগামিদিনগুলোতেও এই রুটিনের বদল হবে না। কী মনে হচ্ছে জানেন? দুর্গা যদি দুর্গতিনাশিনী না হয়ে এ বছর দুর্নীতিনাশিনীরূপে আসতেন!

মহিষাসুরকে এবারের মতো ক্ষমা ঘেন্না করে, কেলেঙ্কারির বুকে ত্রিশূলটা বিঁধিয়ে দিতেন, তাহলে পুজোটা সত্যি সত্যিই সর্বজনের থাকত। SSC বা প্রাথমিকের যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা ধর্মতলায় ধর্না না দিয়ে স্কুলে পড়াতেন। সেটা যখন হয়নি, তখন পুজোর দিনেও তেঁতো হলেও সত্যি কিছু কথা বলতে হচ্ছে। ভাবতে হচ্ছে, কেলেঙ্কারি পরিমাণ কোথায় গিয়ে পৌঁছলে বা প্রশাসনের ওপর কতটা আস্থা হারালে কোনও পুজো কমিটি বিচারপতিকে নায়কের সম্মান দেয়? বা আদালতকে দেবালয় জ্ঞান করে? এটা কি কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা? না কি সামগ্রিকভাবে এটাই এখন এরাজ্যের পাবলিক ওপিনিয়ন? পাশাপাশি, আদালত যেখানে আশা ভরসার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হচ্ছে, সেখানে যাঁদের ওপর তদন্তের ভার। সেই কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি কি আস্থা রাখতে পারছে? এই সমস্ত কথাগুলো আজ না বললেই নয়।

এই সমস্ত কথা বলার সময় রাত ৮.৫৭। TV9 বাংলায় দেখবেন, ‘না বললেই নয়’।