কলকাতা: সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে এই মুহূর্তে উত্তাল বাংলাদেশ। এদিকে দেশের বহু পড়ুয়া ও সাধারণ মানুষ বাংলাদেশে আটকে রয়েছেন। ট্রেন চলাচল ব্যাহত। ফলে চাইলেও ফেরা সহজ হচ্ছে না। এরইমধ্যে এ রাজ্যের পড়ুয়া বা অন্য কেউ আটকে আছে কি না তা নিয়ে খোঁজ খবর শুরু করল নবান্ন।
এ নিয়ে রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। সূত্রের খবর, শনিবার নবান্নের তরফ থেকে দিল্লিতে যোগাযোগ করা হয়। রাজ্যের রেসিডেন্সিয়াল কমিশনারকেও ফোন করা হয়। বলা হয়, বাংলাদেশে থাকা এ রাজ্যের ছাত্র ছাত্রীরা ও পর্যটকের অবস্থা নিয়ে বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে নিয়মিত সমন্বয় রেখে চলতে।
অন্যদিকে রবিবারই ৪০০-এর বেশি মেডিক্যাল পড়ুয়া বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসবেন। ভারতের চ্যাংড়াবান্ধা আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে আসবেন ভারতে। ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে এই খবর। সেই মতো চ্যাংড়াবন্ধ সীমান্তে সব রকমের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশের কমিউনিটি মেডিক্যাল কলেজ ও প্রাইম মেডিক্যাল কলেজ (রংপুর) থেকেই মূলত আসবেন পড়ুয়ারা। শুধু ভারতেরই নয়, নেপাল, ভুটানেরও পড়ুয়া আসবেন।
ক্রমেই ঘোরাল হচ্ছে বাংলাদেশের পরিস্থিতি। সংরক্ষণের বিরোধিতায় পথে নেমেছে সে দেশের হাজার হাজার ছেলে মেয়ে। একদিকে আন্দোলনকারীরা, অন্যদিকে প্রশাসন। প্রতিবাদ, স্লোগানের সঙ্গে হিংসার ছবিও সামনে আসছে। অগ্নিসংযোগ, গুলি, বোমাবাজির খবর আসছে ঢাকা, খুলনা, চট্টগ্রাম-সহ একাধিক জেলা থেকে। এখনও অবধি ১১৫ জনের প্রাণহানি হয়েছে বলে খবর। ইতিমধ্যেই বিদেশমন্ত্রক তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশন এবং অ্যাসিস্টেন্ট হাই কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। প্রায় ৪ হাজার পড়ুয়া এখনও বাংলাদেশে আটকে বলেই খবর।