কলকাতা: চলতি মাসেই রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর রাজ্যে আসার আগেই বারাণসী-কলকাতা এক্সপ্রেসওয়ে নিয়ে চূড়ান্ত তৎপরতা শুরু নবান্নে। বৃহস্পতিবারই জেলা আধিকারিকদের সঙ্গে নবান্নে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে বৈঠক চলে। সেই বৈঠক থেকেই বারাণসী-কলকাতা এক্সপ্রেসওয়ের জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু করার নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব।
মূলত পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি, হাওড়া ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা- রাজ্যের এই ছয় জেলার উপর দিয়ে যাবে বারাণসী-কলকাতা এক্সপ্রেসওয়ে। এই এক্সপ্রেসের জন্য জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা রয়েছে কিনা তা নিয়ে ছয় জেলার আধিকারিকের মতামত নিয়েছেন মুখ্য সচিব। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কয়েকটি জায়গায় জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন জেলাশাসক। কী ভাবে সেই সমস্যার সমাধান করা যায়, সে ব্যাপারে পদক্ষেপ করতে জেলাশাসককে পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্য সচিব। এছাড়া জমি অধিগ্রহণ করা হলে কোন কোন জায়গা দিয়ে এই রাস্তা নিয়ে যাওয়া হবে তার বিস্তারিত রিপোর্ট দেওয়ার জন্য প্রতিটি জেলাশাসককে নির্দেশ দেন মুখ্য সচিব।
বারাণসী-কলকাতা এক্সপ্রেসওয়ের জন্য কেবল জমি অধিগ্রহণ করলে চলবে না, হুগলি নদীর উপর আরও একটি সেতু নির্মাণের প্রয়োজন রয়েছে বলেও নবান্ন সূত্রে খবর। তাই নদীর উপর কোথায় কী ভাবে সেতু নির্মাণ করা যায়, সে বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা পেতে হুগলি জেলা প্রশাসনকে মাটি পরীক্ষা করার প্রস্তুতি নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
প্রসঙ্গত, বারাণসী-কলকাতা এক্সপ্রেসওয়েটি উত্তরপ্রদেশের বারাণসী থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন রাজ্যের উপর দিয়ে এসে কলকাতা পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। এই এক্সপ্রেসওয়ের জন্য ইতিমধ্যে অন্যান্য রাজ্যে জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু এ রাজ্যে জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া এখনও পর্যন্ত শুরু হয়নি। কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রক কলকাতা-বারণসী এক্সপ্রেসওয়ের জন্য রাজ্যকে বহুদিন ধরেই জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু করতে বলেছে বলেও সূত্রের খবর। কিন্তু, এখনও সেই কাজ শুরু হয়নি। তাই এবার প্রধানমন্ত্রী রাজ্যে আসার আগেই এই বিষয়ে তৎপর হল নবান্ন।