Nabanna: ফুটপাতের হকারদের জন্য বড় কোনও সিদ্ধান্ত? বৃহস্পতিবার নবান্নে বড় সিদ্ধান্তের পথে মুখ্যমন্ত্রী?

Deeksha Bhuiyan | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jun 26, 2024 | 4:16 PM

Nabanna: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্যের পরই দেখা যায় 'অ্যাকশনে' নেমে পড়ে পৌরসভা-পুলিশ। প্রথমে এলাকা এলাকায় ঘুরে পুলিশ কর্তারা দোকান সরিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু তা না হওয়ায় একদিনের মধ্যেই বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়।

Nabanna: ফুটপাতের হকারদের জন্য বড় কোনও সিদ্ধান্ত? বৃহস্পতিবার নবান্নে বড় সিদ্ধান্তের পথে মুখ্যমন্ত্রী?
নবান্নে বৈঠক
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আল্টিমেটাম। আর তারপরই শহর জুড়ে চলল বুলডোজার। চিড়িয়াখানার সামনে থেকে ট্রায়াঙ্গুলার পার্ক, যদুবাবুর বাজার সর্বত্র বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় ঝুপড়ি দোকান।  কান্নায় ভেঙে পড়ছেন হকাররা। তাঁদের রুজি রুটির সওয়াল। তাঁদের চলবে কী ভাবে! এরপরই  হকার উচ্ছেদ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী  সব জেলার জেলাশাসক, পৌরসভা, সচিব এবং পুলিশ সুপারদের নিয়ে বৈঠক করবেন। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নবান্নের তরফে জেলাশাসকদের জানানো হয়েছে।

গত সোমবার পৌরসভার কাজে নিয়ে মারাত্মক ভাবে ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নের সভা ঘরে বসেই একের পর এক বিস্ফোরক কথা বলতে থাকেন। তিনি বলেন, “আমার কথা কিছুটা তিক্ত লাগবে। কিন্তু আমি বেশ কিছুদিন ধরেই দেখছি গোটা বিষয়টা। কোথাও কোন এনকোচমেন্ট হলে, সঙ্গে সঙ্গে কেন অ্যাকশন নিচ্ছি না? কেউ টাকা খেয়ে, কেউ টাকা খেয়ে কাজ করছে।” সল্টলেকের ফুটপাতের দোকান, যেতে শুরু করে গড়িয়াহাটের রাস্তার ধারের দোকান, সব বেছে বেছে বলেন তিনি। মমতা বলেছিলেন, “সল্টলেকের অবস্থা দেখে আমার লজ্জা লাগছে। রাজারহাটেও শুরু হয়েছে। সুজিত বোসের লোক বসাচ্ছে, প্রতিযোগিতা করে। এর জন্য কত টাকা দিতে হচ্ছে? একটা করে ত্রিপল লাগাচ্ছে বসে পড়ছে, হোয়াই হোয়াই? কেন সল্টলেকের কাউন্সিলররা কাজ করেন না, তাঁরা তো ইলেক্টেড বডি?”

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্যের পরই দেখা যায় ‘অ্যাকশনে’ নেমে পড়ে পৌরসভা-পুলিশ। প্রথমে এলাকা এলাকায় ঘুরে পুলিশ কর্তারা দোকান সরিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেন। সল্টলেকের কলেজ মোড় থেকে শুরু করে গোদরেজ ওয়াটার সাইট পর্যন্ত, আলিপুর, গড়িয়াহাট চত্বর সব চষে বেড়ান পুলিশ কর্তারা। দোকানদারকে সতর্ক করা হয়। দোকান সরিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু তা না হওয়ায় একদিনের মধ্যেই বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়।

একাধিক ক্ষেত্রে দেখা যায়, পুলিশ কর্তাদের পায়ে পড়েই কান্নায় ভেঙে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা। তাঁদের অধিকাংশেরই বক্তব্য, দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা এখানে ব্যবসা করে আসছেন। সল্টলেকের খাবারের দোকান প্রতি দিন প্রচুর মানুষ খাবার খান, গড়িয়াহাটেও তাই, সেক্ষেত্রে এক লহমায় তাঁদের রুজি রুটি বন্ধ হয়ে গেল! পরিবার নিয়ে পথে বসতে হবে তাঁদের। শহরের বুকে এত হকার যাবে কোথায়? সে প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই উঠছে। সোমবার নবান্নের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী পরামর্শ দিয়েছিলেন, যেন একটা জায়গায় ‘ফুড পার্ক’ তৈরি করে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবারের বৈঠকে হকারদের নিয়ে বড় কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কিনা, সেটাই দেখার।

Next Article