কলকাতা: ঘণ্টায় ১১৫-১২০ কিলোমিটার বেগে আমফান (Amphan) বয়ে গিয়েছিল কলকাতার ওপর দিয়ে। ঝোড়ো হাওয়া ও ভারী বৃষ্টিপাত দেখেছিল শহর। আমফানে প্রশাসন যাতে পুরোদমে কাজ করতে পারে, তার জন্য ঝড়ের রাত নবান্নেই কাটিয়ে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমফানের পর এ বার ইয়াস। আবারও তীব্র ঘূর্ণিঝড়ের টার্গেট বাংলা-ওড়িশা উপকূল। এ বারও প্রস্তুত নবান্ন।
গত বার ঝড়ের পর এক কর্মী সম্মেলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “সে দিন রাতের বেলায় নবান্নটা দুলছিল। নবান্নটা কাঁপছিল। কলকাতা কাঁপছিল।” রাজ্যের প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয় নবান্ন থেকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে প্রশাসনিক হেডকোয়ার্টার ছিল রাইটার্স বিল্ডিং বা মহাকরণ। মমতা ক্ষমতায় আসার পর ২৫১ বছরের পুরনো এই বিল্ডিং থেকে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর চলে যায় নবান্নের ১৪ তলায়।
আমফানে রাইটার্স বিল্ডিংয়ের কী হয়েছিল, সে বিষয়ে বিশদে না জানা গেলেও নবান্নের নাড়ির খবর বাইরে এসেছিল। ১৪ তলায় ভেঙে গিয়েছিল কাচ। ৭ তলার ওপর থেকেই ঝোড়ো হাওয়ার ব্যাটিং অনুভূত হয়েছিল নবান্নে। তাই এ বার সাবধানী প্রশাসন। এ বার আর নবান্নে কন্ট্রোল রুম খুলে রাত জাগবেন না মমতা। পরিবর্তে কন্ট্রোল রুম হবে দুই তলা বিশিষ্ট উপান্নতে। সেখান থেকেই পরিচালিত হবে ইয়াস মোকাবিলা। কিন্তু এ বারও ঝোড়ো হাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে নবান্ন। সে বিষয়ে রাজ্য সরকার কি বাড়তি কোনও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে কি না, সে বিষয়ে বিশেষ কিছু জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: আমফানের এই সব ভয়াল স্মৃতি যেন ফিরিয়ে না আনে ইয়াস!