কলকাতা: নন্দীগ্রাম থানায় বিজেপি নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে দায়ের ৪৭ টি এফআইআ-এর ভিত্তিতে এখনই কাউকে গ্রেফতার করা হবে না। বুধবার জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে মামলার শুনানি চলাকালীন মৌখিক আশ্বাস দিলেন অ্যাডভোকেট জেনারেল। তবে বিচারপতির নির্দেশ, ৪৭ টি মামলায় তদন্তের কী অগ্রগতি, জানাতে হবে রাজ্যকে। ২ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানি।
মামলাকারীর আইনজীবীর সওয়াল করেন, মাত্র পাঁচ সপ্তাহে ৪৭ টি এফআইআর শুধু মাত্র নন্দীগ্রাম থানাতেই। তিনি দাবি করেন, সব এফআইআর বাতিল করা হোক। নইলে যে কাউকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারে। তিনি প্রশ্ন করেন, “একটা দলকে টার্গেট করে ৪৭ টি এফআইআর দায়ের করা হচ্ছে।”
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের আগে ও পরবর্তী পরিস্থিতিতে নন্দীগ্রাম থানায় একাধিক ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ দায়ের হয়। সংখ্যার বিচারে মোট ৪৭ টা। যার ভিত্তিতে এফআইআর-ও দায়ের করে পুলিশ। যার অধিকাংশই বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে। অথচ ভোট পরবর্তী পরিস্থিতিতে বিজেপি কর্মীরাই আক্রান্ত হয়েছেন বলে সরব হোন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপির আক্রান্ত নেতা কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখাও করতে চেয়েছিলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু রাজভবনের বাইরে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন তাঁরা। এরপর রাজভবনের বাইরে ধরনা বসার আবেদন জানানো হয় পুলিশের কাছে। পুুলিশ অনুমতি দেয়নি। তা নিয়ে জল গড়ায় হাইকোর্ট পর্যন্ত। বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসেই সেই মামলার শুনানি হয়। বিচারপতি অবশ্য শুভেন্দু অধিকারীর আর্জি খারিজ করে দেন।