কলকাতা: এখন শরীর ঠিক রয়েছে ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim)। প্রেসিডেন্সি জেল (Presidency Jail) সূত্রে খবর, বর্তমানে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তবে চেহারায় ক্লান্তির ছাপ স্পষ্ট। বেলা সাড়ে আটটা নাগাদ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ফিরহাদ তখনও ঘুমোচ্ছিলেন।
মঙ্গলবার বিকালেই ফিরহাদের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, তাঁর মক্কেলের জ্বর এসেছে। তবে বাবার সঙ্গে দেখা করার পর মেয়ে জানিয়েছিলেন, সুস্থ রয়েছেন তিনি। রাতে জেল সূত্রে ফের জানা যায়, মারাত্মক জ্বর এসেছে ফিরহাদের। তাপমাত্রা প্রায় ১০২ এর কাছাকাছি। সঙ্গে ছিল পেটে ব্য়থাও। । এই পরিস্থিতিতে তাঁকে উন্নত চিকিৎসা দিতে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যেতে চেয়েছিল জেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু হাসপাতালে যেতে চাননি ফিরহাদ।
রাতে ফের খবর আসে, কিছুটা হলেও জ্বর কমেছে ফিরহাদের। এরপর ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। তাঁর স্বাস্থ্যের দিকে কড়া নজর রেখেছে জেল কর্তৃপক্ষ। সোমবার রাতভর ঘুমোননি তিনি। উদ্বেগে ছিলেন। উদ্বেগের জেরেই শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয় মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। তাঁদেরকে প্রথমেই এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার ভর্তি হন সুব্রত মুখোপাধ্যায়ও। তাঁরও কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা দিয়েছিল। কিন্তু প্রচণ্ড জ্বর থাকা সত্ত্বেও লক্ষ্যণীয়ভাবে হাসপাতালে যেতে চাইলেন না ফিরহাদ।
মঙ্গলবার হাসপাতালে খোশমেজাজেই থাকতে দেখা গিয়েছে মদন মিত্রকে। দুপুরে বাড়ির ভাত তৃপ্তি করে খেয়েছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। হালকা তেল মশলায় রান্না করা প্রতিদিনের খাবার। সকাল থেকেই সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী ছন্দা বাণী মুখোপাধ্যায়। আর শোভনের ঘরে ছিলেন বৈশাখী। পরে দেখা করতে যান তাঁর ছেলে ঋষি।
এদিকে, নারদ মামলায় আজ কলকাতা হাইকোর্টে রয়েছে জোড়া শুনানি। সিবিআই এই মামলা স্থানান্তরের আবেদন করেছে। তা নিয়ে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে শুনানি রয়েছে। পাশাপাশি চার হেভিওয়েট নেতার জামিনের ওপর হাইকোর্ট যে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল, তারও পুনর্বিবেচনার আর্জিতে শুনানি হবে বুধবারই।
উল্লেখ্য, নারদ মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশের পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে মঙ্গলবারই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন চার হেভিওয়েট ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়। বক্তব্য, তাঁদের বাদ দিয়েই শুনানি হয়েছে। ফলে এই নির্দেশ যেন পুনর্বিবেচনা করা হয়।
আরও পড়ুন: নারদ মামলায় জোড়া শুনানিতে নজর কলকাতা হাইকোর্টে, লাইভে এসে শান্তি বজায়ের আবেদন ফিরহাদ-কন্যার
মঙ্গলবারই ধৃতদের তরফে হাইকোর্টের সওয়াল করেন অভিষেক মনু সিংভি, সিদ্ধার্থ লুথরা ও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। প্রধান বিচারপতির এজলাসে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিন আইনজীবী। পুনর্বিবেচনার আর্জি পেশে অনুমোদন দেয় হাইকোর্ট। বুধবার সেই মামলারই শুনানি রয়েছে।