Salt Lake Fraud case: বিশ্বাস করে চেক দিতেন বৃদ্ধ দম্পতি, অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে গেল তিন কোটি টাকা

Salt Lake Fraud case: করোনা-কালে ব্যাঙ্কে যেতে পারতেন না বৃদ্ধ ও বৃদ্ধা। দিনের পর দিন ওই দম্পতির অ্যাকাউন্ট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলে নিয়েছেন ওই ব্যক্তি।

Salt Lake Fraud case: বিশ্বাস করে চেক দিতেন বৃদ্ধ দম্পতি, অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে গেল তিন কোটি টাকা
স্বেচ্ছাবসরের পর সল্টলেকে থাকতেন ওই দম্পতি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 30, 2022 | 12:51 PM

সল্টলেক : নিজেকে ব্যাঙ্ক কর্মী বলে পরিচয় দিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। আর তাঁকে বিশ্বাস করেই দিনের পর দিন ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলতে দিতেন বৃদ্ধ দম্পতি। অসহায় দম্পতির বিশ্বাসের সুযোগ নিয়েই তাঁদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন সৌগত মিশ্র নামে এক প্রতিবেশী। আর্থিক সঙ্কটের কথা বলে টাকা চাইতেন তিনি। বিশ্বাসে ভর করে ব্ল্যাঙ্ক চেক হাতে তুলে দিতেন ওই দম্পতি। প্রথমে কম টাকা তুলে দেখেন, ধরা পড়ছেন না। তখনই আরও বেশি বেশি করে টাকা তুলে নিতে থাকেন সৌগত। এখনও পর্যন্ত অন্তত তিন কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ সৌগত মিশ্রের বিরুদ্ধে। ৫৬ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করেই বৃদ্ধ দম্পতিকে ঠকিয়েছেন ওই ব্যক্তি। বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে তাঁকে। বুধবার তাঁকে আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সল্টলেকের এফ ই ব্লকে থাকেন ওই বৃদ্ধ দম্পতি। পাশেই থাকত সৌগত মিশ্রের পরিবার। নিজেকে ব্যাঙ্ক কর্মচারী বলে পরিচয় দিতেন ওই প্রতারক।

জানা গিয়েছে, হায়দরাবাদের সম্পত্তি বিক্রি করে সল্টলেকে এফ ই ব্লকে স্থায়ীভাবে থাকতে শুরু করেছিলেন ওই দম্পতি। ১০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছিল তাঁদের। প্রথমে পাঁচ হাজার টাকা তুলতে ওই ব্যক্তিকে চেক দিয়েছিলেন দম্পতি। সেই টাকা তুলে দেওয়ার পর ধীরে ধীরে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করেন সৌগত। পরবর্তী সময় সুকৌশলে বৃদ্ধের কাছ থেকে চেকবুক এবং পাসবুক হাতিয়ে নেন তিনি। কখনও তাঁকে পাঁচ হাজার টাকা তুলতে বলা হলে, ৫ লক্ষ টাকা তুলে নিতেন তিনি। এই ভাবেই দিনের পর দিন একাধিক লেনদেনের মাধ্যমে প্রায় তিন কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই দম্পতি জানিয়েছেন, করোনা কালে আর্থিক সঙ্কটের কথা বলে দিনের পর দিন টাকা চাইতেন সৌগত ও তাঁর মা। বিশ্বাস করে ফাঁকা চেকই সই করে দিয়ে দিতেন তাঁরা। সেই বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে সব টাকা গায়েব করেছেন সৌগত। পরবর্তী সময়ে সৌগত-র কাছে পাসবুক চাইলে না দেওয়ায় সন্দেহ হয় ওই দম্পতির। তাঁরা ব্যাঙ্কে গিয়ে জানতে পারেন, তাঁদের প্রায় তিন কোটি টাকা উধাও হয়ে গিয়েছে। বিধাননগর দক্ষিণ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। এরপরই সৌগত মিশ্রকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

আরও পড়ুন : Bagtui Massacre: গ্রামে ফিরছেন মিহিলাল, মেরামতি করে ‘অভিশপ্ত’ সেই বাড়িতেই থাকবেন ফের