কলকাতা: নেতাই গণহত্যা মামলায় মূল অভিযুক্ত সিপিএম নেতা রথীন দণ্ডপাটের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল হাইকোর্ট। গত আট বছর ধরে জেলবন্দি রয়েছেন তিনি। সোমবার এই মামলায় অভিযুক্ত অন্য দুজনকে জামিন দেওয়া হলেও মুক্তি পাননি রথীন দণ্ডপাট। হত্যাকাণ্ডে তাঁর বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ রয়েছে, সেই কারণেই তাঁকে জামিন দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে আদালত। এই মামলার শুনানি হয়েছে আগেই। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও বিচারপতি অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চের তরফে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ওই একই মামলায় অন্য দুই অভিযুক্ত পিন্টু রায় ও গণ্ডীবন রায়ের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত। দীর্ঘ ১১ বছর তিন মাস ধরে এই দুজন জেল খাটছেন। সিবিআই এই দুজনকে ওই গণহত্যার বন্দুকবাজ বলে চিহ্নিত করেছিল। তবে তাঁদের আইনজীবী রণদেব সেনগুপ্ত দাবি করেন, এই ঘটনায় ১১৫ জন সাক্ষীর মধ্যে এখনও পর্যন্ত ২৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে, তাঁরা কেউ টিআই প্যারেডে ধৃতদের চিহ্নিত করেনি। এরপর আদালত ৫০ হাজার টাকা করে ব্যাক্তিগত বন্ডে ধৃতদের শর্ত সাপেক্ষে জামিন দিয়েছে।
নেতাই গণহত্যা মামলার অন্যতম অভিযুক্ত রথীন ২০১৪ সাল থেকে বিচারাধীন বন্দি। অভিযোগ, নেতাই গ্রামে রথীনের বাড়ির ছাদ থেকেই গ্রামবাসীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছিল।
তৎকালীন শাসকের আসনে থাকা সিপিএম মাওবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য নেতাই গ্রামের প্রতি বাড়ির থেকে একজন সদস্যকে বাম শিবিরে যোগদানের কথা বলেছিল। তার প্রতিবাদে গ্রামবাসীরা ৭ জানুয়ারি মিছিল করেছিলেন। সেই মিছিলেই গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। তাতে ৯ জন প্রাণ হারান ও ২৮ জন আহত হন।
২০১৩ সালে কলকাতা হাইকোর্ট এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। পরে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর ৭ জানুয়ারি নেতাই শহিদ দিবস হিসেবে পালন করা শুরু করে ঘাসফুল শিবির।