কলকাতা: নিউ আলিপুর মাদককাণ্ডে (New Alipore Drug Case) আরও দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের নাম ফরহান আহমেদ ও আখতার। লালবাজার গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত দুই যুবকই মাদক কারবারি। ফারহান আহমেদের কাছ থেকে ১০ গ্রাম কোকেন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, রাকেশের যে তরুণীর কাছ থেকে মাদক সংগ্রহ করতেন, সেই অমৃতা সিং ফারহান আহমেদের কাছ থেকেই মাদক কিনেছিলেন। আখতারের কাছ থেকে মাদক কিনেছিল ফারহান। অমৃতা সিংকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই এই দুই মাদক কারবারির নাম জানতে পেরেছে পুলিশ।
কোকেন কাণ্ডে মঙ্গলবারই অমৃতা সিং নামে এক তরুণীকে গ্রেফতার করেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। বিজেপি নেতা রাকেশ সিং ও পামেলা গোস্বামীর সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে নারায়ণপুর বাবলাতলা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের দাবি, অমৃতাকে কাজে লাগিয়ে কারবারিদের কাছ থেকে মাদক কিনতেন রাকেশ সিংহ। ফলে অমৃতাকে নিয়ে মাদক মামলায় গ্রেফতারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৫। এই দুই যুূবককে গ্রেফতার করার পর সংখ্যাটা হল ৭। গত রবিবারই এই ঘটনায় আরিয়ান দেব সিংহ নামে এক জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বছর বিয়াল্লিশের আরিয়ানকে নিউ আলিপুর থেকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।
আরও পড়ুন: ‘ব্যাটলফিল্ড’ নন্দীগ্রামে মমতা-শুভেন্দুর দ্বৈরথে মুখে সিপিএমের কোন ওজনদার নেতা? আজই মিলবে ইঙ্গিত
তদন্তে জানা গিয়েছে, পামেলার গাড়িতে যে মাদক রাখা হয়েছে, তা সেদিন আরিয়ান দেব সিংয়ের মাধ্যমেই পুলিশের কাছে খবর পাঠিয়েছিলেন রাকেশ সিং। ড্রাগ কাণ্ডে ইতিমধ্যেই বিজেপি নেতা অমৃত সিংকে নিয়ে টুইস্ট ঘটেছে। অমৃত সিং কীভাবে পুলিশের চোখ এড়িয়ে পালাল তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তাই এ বার নজরে নিউ আলিপুর থানার পুলিশের ভূমিকা। গোটা ঘটনার তদন্ত করছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। তাঁর খোঁজে ইতিমধ্যেই তিন রাজ্যে তল্লাশি চালাচ্ছেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা।