কলকাতা: বছর শেষের বাংলায় বাড়ছে করোনার প্রকোপ। ওমিক্রনও শক্তি বাড়াচ্ছে ক্রমে। এই অবস্থায় প্রয়োজনে নবান্ন যে আবারও কঠোর হতে পারে সোমবারই সে ইঙ্গিত দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনেও উদ্বেগের ছাপ। নমুনা পরীক্ষা কমলেও পজিটিভিটি রেট কিন্তু বেড়ে চলেছে। বেড়েছে মৃতের সংখ্যাও।
সোমবার স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, এ রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৪৩৯ জন। মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। গত একদিনে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৭ হাজার ৪০৪টি। অথচ পজিটিভিটি রেট রবিবারের তুলনায় বেড়ে হয়েছে ২.৫২ শতাংশ। অথচ রবিবার নমুনা পরীক্ষা হয় ২২ হাজার ৫৩৩টি। এদিন ২.৪১ শতাংশ পজিটিভি রেট ছিল রাজ্যে।
উৎসব মুখর কলকাতায় রবিবারের পর সোমবারও ডবল সেঞ্চুরি করোনার সংক্রমণের। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২০৪ জন। মৃত্যু হয়েছে একজনের। এই মুহূর্তে কলকাতায় সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৫২৮। গোটা রাজ্যে ৭ হাজার ৪৩৩ জন।
সোমবার নবান্নে গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি সংক্রান্ত পর্যালোচনা বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে ওমিক্রন নিয়ে সতর্কবার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কোভিডকে মাথায় রেখো। বাইরে থেকে সব নিয়ে চলে আসছে। সেটা মনে হয় একটু রেস্ট্রিকশন… আবার মনে হয়, ওদিকে যেতে হতে পারে আমাদের একটু বিধিনিষেধের দিকে যেতে হতে পারে।”
রাজ্যে ইতিমধ্যেই থাবা বসিয়ে দিয়েছে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ছ’জন ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন। ওমিক্রনে আক্রান্তদের জন্য এবার শহরের সাতটি বেসরকারি হাসপাতালকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে আমরি, অ্যাপোলো, বেলভিউ, উডল্যান্ডস, সিএমআরআই, চার্ণক, ফর্টিস হাসপাতাল। এ ছাড়াও সরকারি হাসপাতাল হিসেবে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে আরটিপিসিআরে পরীক্ষার দু’টি নেগেটিভ রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীকে ছুটি দেওয়া যাবে না বলেও সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। রাজ্যে বর্তমানে ওমিক্রনে যে পাঁচজন রোগী সক্রিয় আক্রান্ত রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে আমরি, ফর্টিস, মেডিকা, উডল্যান্ডস এবং বেলেঘাটা আইডিবিজিতে একজন করে ওমিক্রন আক্রান্ত ভর্তি রয়েছেন।
এই মুহূর্তে রাজ্যের হাতে কোভিশিল্ড রয়েছে ১ কোটি। কোভ্যাক্সিন মজুত রয়েছে ৫০ লক্ষ। রাজ্যে আসছে আরও ২৫ লক্ষ টিকা। ষাটোর্ধ্ব ৯০ লক্ষ প্রথম ডোজ়ের টিকা পেয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ় পেয়েছেন ৩৫ লক্ষ। ১৫-১৮ বছরের টিকাকরণ স্কুল স্তরে করার ভাবনা স্বাস্থ্য দফতরের।