Cyber Crime: টাকা হাতানোর নয়া আতঙ্ক ‘মেবার গ্যাং’, কলকাতাতেও কি বিছিয়েছে জাল?

TV9 Bangla Digital | Edited By: অঙ্কিতা পাল

Mar 26, 2023 | 6:51 PM

Cyber Crime: ভারতের বিভিন্ন জায়গায় সাইবার হানার খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এবার রাজস্থানের মেবার গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে উঠেছে অভিযোগ।

Cyber Crime: টাকা হাতানোর নয়া আতঙ্ক মেবার গ্যাং, কলকাতাতেও কি বিছিয়েছে জাল?
প্রতীকী চিত্র

Follow Us

কলকাতা: জামতাড়ার মোড়কে এবার নতুন সাইবার হানা এই রাজ্যে। রাজস্থানের মেবারের ক্রাইমের কথা কম-বেশি আমাদের সকলের জানা। সেই ক্রাইমের এখন নতুন পদ্ধতি সাইবার অ্যাটাক। মেবার রাজস্থানের একটি ছোট্ট জায়গা হলেও সেখান থেকেই বড় বড় সাইবার হানার খবর আসছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগের ভিত্তিতে এখন রাজস্থানের মেবার নাকি সাইবার হ্যাকারদের বাসস্থান হয়ে উঠেছে। জামতাড়ার আদলে কখনও ব্যাঙ্কের কেওয়াইসি আপডেট, সিমের কেওয়াইসি আপডেট বা ইলেকট্রিক বিলের ভুয়ো মেসেজ পাঠিয়ে কার্যত প্রতারণার ছক তৈরি করছে এই প্রতারকরা। এই প্রতারকদের মূল লক্ষ্য হল টাকা হাতানো। বর্তমানে জামতাড়ায় ধরপাকড় বেশি হওয়ার কারণে এখন নয়া ছক সাজাচ্ছে মেবার।

কলকাতায় সাইবার হানার পরিসংখ্যান:

২০১৮ সালে কলকাতায় মোট ৯৯ টি সাইবার হানার মামলা হয়েছে। ২০১৯ সালে তা বেড়ে হয়েছে ১৬০ টি। ২০২০ সালের কলকাতার বুকে সাইবার হানার সংখ্যা ১৭৪ টি। ২০২১ সালে তা এক ধাক্কায় বেড়ে হয়েছে ২২০ টি । ২০২২ সালের ২১ নভেম্বর পর্যন্ত ২০৬ টি সাইবার কেস রয়েছে।

প্রসঙ্গত, জামতাড়া গ্যাং যেভাবে কাজ করত সেই একই পদ্ধতি অবলম্বন করে সাইবার হানা চালাচ্ছে মেবারের এই গ্যাং। গোটা দেশ থেকেই কম বেশি সাইবার হানার খবর মিলছে। এবং এর পিছনে এই মেবার গ্য়াংয়েরই হাত রয়েছে বলে মনে করছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা। এই গ্য়াংটি কখনও কোনও ব্যক্তিকে কেওয়াইসি আপডেট করার নামে মেসেজ আসছে। সেখানে লিঙ্গে ক্লিক করলেই জালিয়াতদের ফাঁদে পা দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হারাচ্ছেন নাগরিকরা। আবার কখনও কোনও ব্যক্তির কাছে মেসেজ যাচ্ছে, তাঁর বিদ্যুতের বিলের পেমেন্ট হয়নি, এই বলে মেসেজ আসছে। এক্ষেত্রে সাইবার বিশেষজ্ঞরা বারবার সাবধানতা অবলম্বন করতে বলছেন। কারণ এই প্রতারকদের থেকে বাঁচার এটাই একমাত্র সর্বোত্তম উপায়। তবে দিল্লিতেই এই মেবার গ্যাংয়ের জাল বেশি বিস্তৃত। তবে কলকাতাতেও নিশ্চিন্তে বসে থাকা সম্ভব নয়। ধরা পড়ার ভয়ে সাইবার প্রতারকরা গ্যাং পাল্টে নতুন নতুন গ্যাং তৈরি করছে।

কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল সিপি হরি কিশোর কুসুমাকার বলেছেন, “ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে তাঁরা লোকেদের ঠকাচ্ছে। কখনও কেওয়াইসি আপডেট, CESC বিল পেমেন্ট হয়নি এবং সেই পেমেন্ট না হলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে। এরকম বিভিন্ন দেখায় তাঁরা। যাতে মনে হয় তাঁরা আসল মেসেজ পাঠাচ্ছে। কোনও ভুয়ো বার্তা নয়। তাঁদের মূল উদ্দেশ্য, এইভাবে যাতে গ্রাহকরা ভয় পেয়ে তাড়াতাড়ি তাঁদের ফাঁদে পা দেন ।” সাইবার বিশেষজ্ঞ সন্দীপ সেনগুপ্ত বলেছেন, “যেসব বড় বড় গ্যাংগুলো অপারেট করছিল, তাদের অধীনে যেসব ছোটো ছোটো গ্য়াংগুলি কাজ করছিল এখন তারাই গ্য়াং খুলে ফেলেছে। সুতরাং এটা ছড়াতে থাকবে। মিডিয়াতে যত এই বিষয়টিতে তুলে ধরা হবে তত এদের দৌরাত্ম্য কমতে থাকবে।” তিনি বলেন, “মানুষকে এরা একই পথে নিয়ে যাচ্ছে নতুন নতুন গল্প বলে। এইখানে দাঁড়িয়ে মানুষদের মাথায় বেসিক কিছু জিনিস রাখতে হবে। যেমন ফোনে ওটিপি বলব না। মোবাইলে কিছু ইনস্টল করব না। এই ৪-৫ টা জিনিস মাথায় রাখলে ওরা যতই চেষ্টা করুক মানুষকে বোকা বানানো যাবে না।”

Next Article