কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিতে আরও একটি এফআইআর (FIR) করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। ২০২০ সালের প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় নতুন এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। কলকাতা হাই কোর্ট এর নির্দেশে এই দুর্নীতির তদন্ত শুরু হয়েছে। নতুন এফআইআর করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ১৬ হাজার ৫০০ জনের নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে এই এফআইআর করা হয়েছে। প্রতারণা এবং জালিয়াতির অভিযোগেই দায়ের এই এফআইআর।
প্রাথমিক নিয়োগের টেট দুর্নীতি নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমেছে সিবিআই। ২০২০ সালে নিয়োগ নিয়ে হাইকোর্টে রিট পিটিশন হয়েছিল, সেখানেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তদন্তের নির্দেশ দেয়। এস রায়ের মতো বেসরকারি সংস্থার হাতে নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য কী করে যায় তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। সেই সব তথ্য অনেক গরমিলের অভিযোগও রয়েছে। এই সমস্ত বিষয়টি সামনে আসতেই নতুন করে এ ব্যাপারে তদন্ত শুরুর নির্দেশ দেয় আদলত। তার পরই ১৮ মার্চ নতুন এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়। এই দুর্নীতিে কারা জড়িত তা তদন্ত এগোলেই বোঝা যাবে। কোনও নতুন প্রভাবশালীর নাম নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়ায় কি না, সে বিষয়টি স্পষ্ট হবে আগামী দিনে।
নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে উত্তাল রাজ্য রাজধানী। রাজ্যের হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীরা ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন বিভিন্ন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্য, কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো অনেকেই এখন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হেফাজতে রয়েছে। তাঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও অনেক প্রভাবশালীর নাম উঠে এসেছে। প্রমাণ জোগাড় করে তাঁদের বাড়ি, অফিসেও তল্লাশি চালাচ্ছে কেন্দ্রের তদন্তকারী অফিসাররা। নিয়োগে বেআইনি আর্থিক লেনদেনের তদন্তও করছে ইডি। এ রকমই সদ্য গ্রেফতার হওয়া বলাগড়ের তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী অয়ন শীলকে সোমবার ভোররাতে গ্রেফতার করেছে ইডি।