কলকাতা : ক্ষমতায় আসার পর থেকে পর থেকেই রাজ্য জুড়ে প্রশাসনিক বৈঠক করে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা ও প্রতিটি জেলায় এমন বৈঠক করেন তিনি। সেখানে নবান্নের উচ্চপদস্থ আধিকারিক থেকে স্থানীয় বিধায়কদের উপস্থিতি দেখা যায়। প্রশাসনিক কাজের খোঁজখবর নিতেই এই সভা করেন তিনি। এবার সেই সভা নিয়েই এল এক নয়া নির্দেশিকা।
প্রশাসনিক বৈঠকে এবার থেকে প্রতিটি জেলার সভাধিপতি ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও ব্লক ডেভেলপমেন্ট আধিকারিকদেরও উপস্থিত থাকার কথা বলা হল। এতদিন পর্যন্ত এই সব পদাধিকারীরা প্রশাসনিক বৈঠকে উপস্থিত থাকতেন না। বর্ধমানের সভা থেকে নয়া নিয়ম চালু করার কথা বলা হয়েছে।
বুধবার মুখ্যমন্ত্রী পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলা নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন। ওই বৈঠকেই ভার্চুয়ালি সব জেলার জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিদের থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন সেই সভায়। প্রতিটি জেলার ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার ও জেলা শাসকদেরও ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১০০ দিনের কাজ, বাংলার বাড়ি সহ কয়েকটি বিষয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার জন্যই বৈঠকে থাকার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। সাধারণত জেলার প্রশাসনিক বৈঠক হলে সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা পরিষদের সভাধিপতিরা উপস্থিত থাকেন। এই প্রথম মুখ্যমন্ত্রী কোনও প্রশাসনিক বৈঠক এই সব জেলার জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিদের উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনদিনের দুই বর্ধমান সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার ছিল প্রথমদিন। এ দিন পূর্ব বর্ধমানে গোদার মাঠে সভা ছিল তাঁর। কৃষি উৎসবের উদ্বোধনও করেন এদিন। মঙ্গলবারও ওই জেলায় আরও একটি সভা করেন তিনি। ১০০ দিনের কাজ থেকে শুরু করে কেন্দ্রের নয়া প্রকল্প, একের পর এক ইস্যুতে দুই সভা থেকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন মমতা। পাশাপাশি, উন্নয়নের বার্তাও দিয়েছেন তিনি। এবার নজর থাকবে তাঁর প্রশাসনিক বৈঠকে।