কলকাতা: বর্তমানে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর কাছে যে পরিমাণ সমরাস্ত্রবাহী নজরদারি জাহাজ রয়েছে, কম না হলেও বর্তমান সময়ে তা পর্যাপ্ত নয়। যে কারণে আগামী তিন থেকে চার বছরের মধ্যে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর জাহাজের সংখ্যা ২০০- তে নিয়ে যাওয়া হবে। সেই লক্ষ্যমাত্রা নিয়েই ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন জাহাজ প্রস্তুতকারক বন্দরগুলিকে লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে। বুধবার গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্সের এক অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে এমনই জানালেন ভারতীয় উপকূলরক্ষা বাহিনীর ডিজি ভি এস পাঠানিয়া।
এদিন ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনীর নবনির্মিত জাহাজ “আইসিজিএস কমলা দেবী”, উপকূলরক্ষী বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হল। ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর ডিজি এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত এই জাহাজটি আপাতত হলদিয়ায় থাকবে। স্বল্প পাল্লার এবং দূরপাল্লার আধুনিক মেশিনগান রয়েছে এই জাহাজটিতে।
ভারত এবং বাংলাদেশ সীমান্তে মূলত আরও নিখুঁত নজরদারির জন্য এই জাহাজ নিযুক্ত করা হবে বলে উপকূলরক্ষী বাহিনী সূত্রে খবর। এদিন অনুষ্ঠান শেষে ডিজি উল্লেখ করেন, মুম্বইতে যে পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার হচ্ছে, তাতে নজরদারি আরও বাড়ানোর প্রয়োজন পড়ছে। সীমান্তের কাছাকাছি যে অংশটি পড়বে সেখানে নজরদারি আরও জোরদার করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ সীমান্ত নিয়ে অনেক পরিকল্পনা হয়েছে। বাংলাদেশের উপকূল রক্ষী বাহিনীর সঙ্গে বিভিন্ন তথ্য আদান প্রদানও করা হয়।
ডিজি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ সীমান্তে উপকূল রেখা বরাবর নজরদারি বাড়িয়েছি। আমরা আমাদের পরিকাঠামোকে আগের তুলনায় অনেকটাই উন্নত করেছি। আমাদের এখন নজরদারির ক্ষেত্রে আরও বেশ কিছু নিখুঁত পরিকল্পনা করতে হচ্ছে। তবে জাহাজের প্রয়োজনীয়তা সবথেকে বেশি। সেকারণেই বিভিন্ন যুদ্ধজাহাজ প্রস্তুতকারী শিপবিল্ডার্স গুলিকে দ্রুত এই কাজ করার জন্য বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’