Newtown Crime Case: দোতলায় ছিলেন বাড়ির মালিক, এক তলাতেই কাচের ঘরে তাঁরই স্ত্রীর সঙ্গে জঘন্য কাজ কেয়ারটেকারের! নিউটাউনে চাঞ্চল্য
Newtown Crime Case: দোকানের কাচের দরজা ভেঙে মহুয়াকে উদ্ধার করে সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়।
কলকাতা: পরিচিতের মাধ্যমে বাড়ির কেয়ারটেকার নিয়োগ করা হয়েছিল। নেওয়া হয়েছিল পরিচয়পত্রের সমস্ত নথি। তারপরও সে যে এমন করবে, একবারও আঁচ করতে পারেননি বাড়ির মালিক। এক মহিলা হোমিওপ্যাথি ওষুধ ব্যবসায়ীর মাথায় ধারাল অস্ত্রের কোপ মেরে টাকা পয়সা নিয়ে চম্পট দিল কেয়ারটেকার। শনিবার ভরসন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে নিউটাউনের অ্যাকশন এরিয়া ১এ এর এএল ব্লকে। অভিযোগ ঘিরে সরগরম এলাকা। এই এলাকাতেই ৩৪ নম্বর প্লটে মহম্মদ আব্দুল গফফরের বাড়ি। তিন তলা বাড়ির দোতলায় গফফর ও তাঁর স্ত্রী মহুয়া থাকেন। বাড়ির নীচে তাঁদের একটি হোমিওপ্যাথি ওষুধের দোকান আছে। শনিবার রাতে সেই দোকানেই ছিলেন মহুয়া। দোকানের বাইরে টুলে বসেছিল ওই বাড়ির কেয়ারটেকার বাদল সিং। অভিযোগ, সুযোগ বুঝে মহুয়ার মাথায় আঘাত করে সব টাকা পয়সা ও মোবাইল ফোন নিয়ে পালায় কেয়ারটেকার বাদল। যতক্ষণে গফ্ফর কিছু আঁচ করে নীচে নেমে আসেন কেয়ারটেকার তখন হাওয়া।
গফফর ওপর থেকে নীচে নেমে এসে দেখেন তাঁর স্ত্রী রক্তাক্ত অবস্থায় কাচের ঘরের মধ্যে পড়ে রয়েছেন। তিনি তখন প্রতিবেশীদের ডাকেন। নিউটাউন থানায় খবর দেন। দোকানের কাচের দরজা ভেঙে মহুয়াকে উদ্ধার করে সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিতসকরা জানিয়েছেন, ৭২ ঘন্টা না কাটলে কিছুই বলা যাবে না। এই ঘটনার পর রবিবার সকালে নিউটাউন থানায় এ ব্যাপারে অভিযোগ করেন গফফর।
তিনি বলেন, “গত ২৪ ডিসেম্বর থেকে বর্ধমান কৃষ্ণপুর বাগানের যুবক বাদল সিং আমার এখানে কেয়ারটেকার হিসাবে কাজ করছিলেন। স্থানীয় যুবক মনিরুল বাদলকে নিয়ে আসে এবং থানা থেকে ওঁর কাগজপত্র ভেরিফাই করে দেয়। তারপরেও এই ঘটনা ঘটায় আমরা আতঙ্কিত।” রবিবার রাতেই নিউটাউন এলাকাতেই তল্লাশি চালিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কেন ঘটনা ঘটাল, সেটা নিয়ে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।
বাড়ির কেয়ারটেকার কীভাবে এমন কাজ করতে পারলেন, সেটাই ভেবে উঠতে পারছিলেন না বাড়ির মালিকরা। আশেপাশের বাসিন্দারাও বিষয়টা নিয়ে চিন্তিত। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নিউটাউন থানার পুলিশ। অভিযুক্তের মোবাইলের কললিস্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যে যুবকের মাধ্যমে ওই কেয়ারটেকার নিয়োগ করা হয়েছিল, তার সঙ্গেও কথা বলছেন তদন্তকারীরা। তবে এই ঘটনায় মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।