নিউটাউন: খাল সংস্কারের জন্য মাটি নিয়ে আসা হয়েছিল। তবে তা দিয়ে কাজের কাজ না করে নিউটাউনের (New town) একাধিক জলাশয় ভরাট। স্থানীয় বাসিন্দারা এমনই অভিযোগ করছেন খোদ পঞ্চায়েত সদস্য থেকে এলাকার তৃণমূল নেতাদের (TMC Leader) বিরুদ্ধে। ফি বছর অতি বর্ষায় জলমগ্ন হয় নিউটাউন সহ সল্টলেকের বিস্তীর্ণ এলাকা। তাই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে নিউটাউনের বাগজোলা খাল ও কেষ্টপুর খালের সংস্কার শুরু করেছে সেচ দফতর। অভিযোগ, বাগজোলা খাল সংস্কারের ওঠা মাটি দিয়ে একাধিক জলাশয় ভরাট হচ্ছে নিউটাউনে পাথরঘাটা ছাপনা এলাকায়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পাথরঘাটা পঞ্চায়েতের সদস্য জইরুল হাজরা সহ স্থানীয় নেতাদের মদতে রাতের অন্ধকারে সেই মাটি গিয়ে পড়ছে এলাকার জলাশয়গুলিতে। মুখ্যমন্ত্রী ‘জল ধরো জল ভরো’ প্রকল্প এনেছিলেন, রাজ্যের কোন জায়গায় জলাশয় যাতে না ভরাট করা হয় তারই নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে রাজারহাট ব্লকের পাথরঘাটা পঞ্চায়েত সদস্য জইরুল হাজরা সহ শাসক দলের একাধিক ব্যক্তির নামে এই জলাশয় ভরাটের অভিযোগ উঠছে।
প্রশাসনের তরফ থেকে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয় সেটাই এখন দেখার। যদিও যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা প্রত্যেকেই এই বিষয়ে কোনও কিছু বলতে চাননি। স্থানীয় এক বাসিন্দা অভিযোগ জানিয়ে বলেন, “জইদুল ঘর করবে বলে মাটি তুলছে। খাল সংস্কারের সব মাটি তোলা হচ্ছে ঘর বানানো হবে বলে।” রাজারহাট পঞ্চায়েত সমিতি সভাপতি প্রবীর কর বলেন, “আমি প্রধানকে আগেই বলেছি কী কী কাজ হচ্ছে জানাতে। বন্ধের নোটিস ধরাতে। এমনকী সংশ্লিষ্ট থানাকেও জানাতে বলেছি। কী রেজাল্ট হয় জেনে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব। আমাকে দেখতে হবে যেগুলি ভরাট হয়েছে সেগুলি আদৌ পুকুর-ডোবা ছিল কি না।” রাজারহাট নিউটাউনের বিধায়ক তাপস রায় জানান, “যদি এমন কোনও ঘটনা ঘটে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদিও প্রধান বন্ধের জন্য চিঠি করেছেন।”রাজারহাট BDO ঋষিকা দাস জানিয়েছেন, “এই বিষয়ে আমি প্রধানের সঙ্গে কথা বলেছি। উনি বিষয়টি দেখছেন বলে জানিয়েছেন।”