কলকাতা: টিকার আকাল চরমে উঠেছে কলকাতায়। জুলাই মাসে রাজ্যকে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন মিলিয়ে মোট ৭৩ লক্ষ ডোজ় ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, গত ১৫ জুলাই পর্যন্ত মাত্র ২৩ লক্ষ ডোজ় পেয়েছে রাজ্য। তারপরই সঙ্কট উঠেছে চরমে। বিশেষ করে কোভ্যাক্সিনের জোগান না থাকায় পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ হয়ে উঠেছে। সূত্রের খবর, কলকাতা পুরসভার ভাঁড়ার থেকে কোভ্যাক্সিন পুরোপুরি শেষ। ফলে শুক্রবার, অর্থাৎ আগামিকাল থেকে কলকাতা পুরসভার কোনও কেন্দ্রে কোভ্যাক্সিন দেওয়া যাবে না।
রাজ্যের হিসেবে যদিও কোভ্যাক্সিন প্রাপকদের সংখ্যাটা খুব একটা বেশি নয়। কিন্তু ভারত বায়োটেকের টিকা নিয়েছেন, এমন মানুষের সংখ্যা একেবারেই কম নয় শহরে। এমন বহু ব্যক্তি রয়েছেন, যারা কোভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ় ইতিমধ্যেই নিয়ে ফেলেছেন। এখন দ্বিতীয় ডোজ়ের অপেক্ষায় রয়েছেন। তাঁদের কী হবে? সেটা নিয়েও কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি পুর কর্তৃপক্ষ। এর ফলে যে সকল ব্যক্তিদের কোভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় ডোজ় চলতি মাসেই নেওয়ার কথা, তাঁরা রীতিমতো অথৈ জলে পড়েছেন। কারণ কোভ্যাক্সিনের দুটি টিকার ডোজ় নিতে হয় ২৮ দিনের ব্যবধানে। টিকার জোগান স্বাভাবিক না হলে কোভ্যাক্সিন দেওয়া শুরু হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই, সাফ জানিয়ে দিয়েছে পুর কর্তৃপক্ষ। দ্বিতীয় ডোজ়ের অপেক্ষায় থাকা ব্যক্তিরা অন্য কোনও বিকল্প স্থানে তা পাবেন কি না, সেই বিষয়েও কিছুই জানানো হয়নি।
এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার কারণে যথারীতি কেন্দ্রকে দায়ী করে একহাত নিয়েছেন পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য অতীন ঘোষ। কেন্দ্রীয় সরকার টিকা না পাঠানোর কারণেই এমন অবস্থা তৈরি হয়েছে বলে এ দিন জানান তিনি। যে কারণে কলকাতা পুরসভার যে ৩৯ টি কেন্দ্রে এবং রক্সি মেগা সেন্টারে কোভ্যাক্সিন দেওয়া হয়, তা আগামিকাল বন্ধ থাকবে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবারই দিল্লিতে হওয়া এক সর্বদলীয় বৈঠকেও রাজ্যের টিকার আকালের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও ডেরেক ও’ব্রায়েন। একটি চিঠির মাধ্যমে তাঁরা জানান, কেন্দ্র জুলাই মাসে যে পরিমাণ টিকা পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তার অর্ধেকও এসে পৌঁছয়নি এখনও। তাই কেন্দ্র যাতে বরাদ্দ টিকাটুকু রাজ্যকে দিয়ে দেয়। আরও পড়ুন: বালি মাফিয়াদের ‘শায়েস্তা’ করতে নতুন পদক্ষেপ, ‘স্যান্ড মাইনিং পলিসি’ ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর