কলকাতা: রাজ্য বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের ৩ শতাংশ মহার্ঘভাতার ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু তাতে চিড়ে ভেজেনি। বকেয়া ডিএ (DA Agitation) মিটিয়ে দেওয়ার দাবিতে এখনও আন্দোলনে সামিল সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। দাবি স্পষ্ট, কেন্দ্রের সঙ্গে সমহারে ডিএ দিতে হবে। আগামী ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারি পেন ডাউন বা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে সরকারি কর্মচারীদের একাধিক সংগঠন। এমন অবস্থায় কড়া পদক্ষেপের পথে রাজ্য সরকার। সরকারি কর্মীদের ওই দিনগুলিতে অফিসে হাজিরা দিতেই হবে। কোনও ক্যাজুয়াল লিভ বা অন্য কোনও ধরনের ছুটি নেওয়া যাবে না। নবান্ন থেকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এই কথা জানানো হয়েছে।
অর্থ দফতরের ওই বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ওই দুই দিন সরকারি কর্মীরা বা স্কুল এবং সরকারি সাহায্য-প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলির কর্মীদের অবশ্যই হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। এমনকী কোনও হাফ-ডে কাজও গ্রাহ্য হবে না। গোটা দিনের হাজিরা থাকতে হবে। যাঁরা ১৭ তারিখ ছুটি নিয়েছেন, তাঁদের অবশ্যই ২০ তারিখ কাজে যোগ দিতে হবে। যদি কোনও সরকারি কর্মচারী ওই দিনগুলিতে কাজে অনুপস্থিত থাকেন, তাহলে তা সার্ভিস ব্রেক হিসেবে গণ্য হবে এবং ওই দিনের বেতন তাঁরা পাবেন না। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। যদি কোনও কর্মচারী হাসপাতালে ভর্তি থাকেন, যদি পরিবারের কারও মৃত্যু হয়, যদি কেউ শারীরিক অসুস্থতার কারণে ১৭ তারিখের আগে থেকে ছুটিতে থাকেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এই কড়াকড়ি থাকছে না। পাশাপাশি ১৭ তারিখের যে সব সরকারি কর্মচারীর চাইল্ড কেয়ার লিভ, ম্যাটারনিটি লিভ, মেডিক্যাল লিভ বা আর্নড লিভ অনুমোদন পেয়ে গিয়েছে, তাঁদেরও এই কড়াকড়ির মধ্যে পড়তে হবে না।
কিন্তু, এর বাইরে যদি কেউ অন্য কোনও কারণে কাজে অনুপস্থিত থাকেন, তাহলে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মচারীকে শোকজ় নোটিস ধরানো হবে। যদি জবাব সন্তোষজনক হয়, তাহলে প্রয়োজনীয় নথির ভিত্তিতে তাঁদের ছুটি অনুমোদন করা যেতে পারে। যদি নবান্নের তরফে জানানো বিশেষ ক্ষেত্রগুলি ছাড়া অন্য কোনও কারণে কেউ কাজে না আসেন এবং যদি তাঁর ছুটি অনুমোদিত না হয়, তাহলে সেটিকে সার্ভিস ব্রেক হিসেবে ধরা হবে এবং ওই দিনের কোনও বেতন তিনি পাবেন না। আর যাঁরা শোকজের জবাব দেবেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।