Local Trains partially suspended: সোম থেকে সন্ধে ৭ টার পর বন্ধ লোকাল ট্রেন, রাজ্যে ফিরল করোনার কড়াকড়ি
COVID 19 restrictions: সন্ধে ৭ টা পর্যন্ত যে লোকাল ট্রেনগুলি চলবে, সেগুলিও ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়েই চলাচল করবে।
কলকাতা : সোমবার থেকে রাজ্যে ফিরছে করোনার কড়াকড়ি (COVID 19 Restrictions in West Bengal)। জারি হয়েছে একগুচ্ছ বিধিনিষেধ। লাগাম টানা হয়েছে লোকাল ট্রেনেও (Local Trains partially suspended)। সোমবার থেকে সন্ধে সাতটার পর আর কোনও লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু থাকবে না। রবিবার রাজ্য সরকারের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় এমনটাই জানানো হয়েছে। কড়াকড়ি করা হয়েছে যাত্রী সংখ্যার উপরেও। সন্ধে ৭ টা পর্যন্ত যে লোকাল ট্রেনগুলি চলবে, সেগুলিও ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়েই চলাচল করবে।
রাজ্যে ফের দাঁত নখ বের করেছে করোনা। বিগত কয়েকদিনে এক হাজারের লম্বা লাফ দিচ্ছে দৈনিক সংক্রমণ। এক হাজার, দুই হাজার, তিন হাজার হয়ে শনিবারের বুলেটিনে দৈনিক সংক্রমণ সাড়ে চার হাজারেরও বেশি। এই পরিস্থিতিতে ফের একগুচ্ছ কড়াকড়ি জারি করল নবান্ন।
দুশ্চিন্তায় পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা
এদিকে রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তে পর মাথায় হাত পড়েছে নিত্যযাত্রীদের একাংশের। কলকাতার শহরতলি এবং সংলগ্ন এলাকাগুলি থেকে প্রচুর মানুষ প্রতিদিন লোকাল ট্রেনে কলকাতায় নিজেদের কর্মস্থলে আসেন। এবার সন্ধে ৭ টার পর থেকে লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ হয়ে গেলে, কীভাবে তাঁরা বাড়ি ফিরবেন না ভেবে দুশ্চিন্তা বাড়ছে নিত্যযাত্রীদের একাংশের। শুধু অফিসযাত্রীরাই নন, প্রতিদিন বহু মানুষ পেটের তাগিদে কলকাতায় আসেন। তাঁদের একটি বড় অংশ অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করেন। তাঁরাই বা কীভাবে কাজ শেষে বাড়ি ফিরবেন, সেই নিয়েও প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিচ্ছে।
সিদ্ধান্ত নিতে কেন এত দেরি, প্রশ্ন একাংশের
তবে রাজ্যে যে হারে বিগত কয়েকদিনে করোনা লাগামছাড়াভাবে বাড়তে শুরু করেছে, তাতে এই কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া অত্যন্ত দরকার ছিল বলেই মনে করছেন আমজনতাদের একাংশ। তাঁদের মতে, এই কড়াকড়ি করার সিদ্ধান্ত আরও আগে নেওয়ার দরকার ছিল রাজ্য প্রশাসনের। প্রাথমিকভাবে সব মিলিয়ে লোকাল ট্রেন আংশিকভাবে বন্ধ করে দেওয়ায় আমজনতার মধ্যে দুই ধরনের অভিমতই পাওয়া যাচ্ছে।
৫০ শতাংশ যাত্রী কি আদৌ সম্ভব?
এদিকে নবান্ন থেকে রবিবার যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে যে লোকাল ট্রেনগুলি সন্ধে ৭ টা পর্যন্ত চলাচল করবে, সেগুলিও ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলবে। রাজ্য সরকারের এই ৫০ শতাংশ যাত্রীসংখ্যা নিয়ে এর আগেও প্রশ্ন তুলেছিলেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কারণ, এর আগেও দেখা গিয়েছে, রাজ্য সরকার যখন ৫০ শতাংশ যাত্রীর কথা বলেছিল – সেই যাত্রী সংখ্যা ৫০ শতাংশ হচ্ছে কি না, তার দেখার জন্য কোনও পরিকাঠামো ছিল না। ৫০ শতাংশ যাত্রীর কথা বলা হলেও, বাস্তবে দেখা গিয়েছিল, লোক গিজগিজ করছে ট্রেনগুলিতে। বাদুড়ঝোলা ভিড়। ফলে, লোকাল ট্রেনে এই ৫০ শতাংশ যাত্রীর নির্দেশিকা আদৌ কতটা বাস্তবায়িত হবে, তা নিয়ে একটি প্রশ্নচিহ্ন থেকেই যাচ্ছে। এমনটাই মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
নতুন নির্দেশিকায় লোকাল ট্রেন আংশিকভাবে বন্ধ করার কথা বলা হলেও, মেট্রো রেল পরিষেবায় কোনো কাটছাঁট করা হচ্ছে না। এতদিন পর্যন্ত যেমন মেট্রো পরিষেবা চালু ছিল, তেমনটাই চালু থাকবে আসন সংখ্যার ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে।
আরও পড়ুন : Omicron in Bengal: বাংলায় ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২০, দেশে ১,৫২৫!