শহরের মর্গে দেহ রাখার জায়গা নেই, মহানগরে আতঙ্কের ছবি

May 01, 2021 | 5:21 PM

হসপাতালগুলির মর্গে জায়গা নেই। আসছে না কলকাতা পুরসভার গাড়ি। 'সৎকারের জায়গা নেই' বলছে পুরসভা।

শহরের মর্গে দেহ রাখার জায়গা নেই, মহানগরে আতঙ্কের ছবি
প্রতীকী চিত্র।

Follow Us

কলকাতা: সংক্রমণের ছবি দেখা গিয়েছে গত বছরেও। তবে এবার যে ভাবে লাশের পর লাশ পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে, তাতে ঘুম উড়ছে সাধারণ মানুষের। রাজধানী দিল্লিতে সৎকারের জন্য দেহ নিয়ে বসে থাকতে হচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এত বেশি মৃতদেহ সৎকারের জায়গাই পাওয়া যাচ্ছে না। আর এবার খাস কলকাতায় (Kolkata) ধরা পড়ল শিউরে ওঠার মতো ঘটনা। হাসপাতালগুলিতে উপচে পড়ছে মৃতদেহের ভিড়। মর্গে আর দেহ রাখার জায়গা নেই বলে জানাচ্ছ সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল। কোথায় পোড়ানো হবে? ভেবে মাথায় হাত পড়ছে পুরসভারও (KMC)।

গত কয়েক দিন ধরে কলকাতার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলির মর্গে উপচে পড়ছে দেহ। অনেক দেহে পচন ধরছে বলেও জানা যাচ্ছে। এই অবস্থায় শুধু ধাপার মাঠের ওপর ভরসা করা যাবে না বলে মনে করছে পুরসভা। কারণ, সে সব জায়গাতেও দেহের ভিড় বাড়ছে। সৎকারের জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না। সূত্রের খবর, এই অবস্থায় নিমতলা শ্মশানেও করোনা আক্রান্তদের দেহ সৎকারের জন্য ব্যবস্থা করা হবে।

বেসরকারি হাসপাতালগুলির নিয়ন্ত্রক স্বাস্থ্য কমিশনের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ আছে। আর সেখানে গত দু-তিন দিন ধরে অভিযোগ জানিয়ে আসছে বেসরকারি হাসপাতালগুলি। তারা জানাচ্ছে যে তাদের মর্গে আর দেহ রাখার জায়গা নেই। এরপর মৃত্যু হলে সেই দেহ ওয়ার্ডেই ফেলে রাখতে হবে, পরিস্থিতি সে দিকেই এগোচ্ছে।

আরও পড়ুন: শিয়ালদা-হাওড়ায় করোনা আক্রান্ত প্রায় ১৩৫০ রেল কর্মী, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন

শুধু বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিংহোম নয়, সরকারি হাসপাতালগুলিতেও একই অবস্থা। এনআরএস হাসপাতালে গত দু’দিন কোনও গাড়ি আসেনি। মর্গে চেম্বারের বাইরে দেহ রাখতে বাধ্য হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গত কাল, শুক্রবার পর্যন্ত পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী আরজিকরে জমে আছে ৩৫টি দেহ। শুক্রবার পর্যন্ত জমে ছিল অন্তত ২৫০ দেহ, যে গুলির সৎকার হয়নি। অন্য দিকে, কলকাতা পুরসভা সম্প্রতি জানিয়েছে যে করোনা আক্রান্তের মৃ্ত্যু হলে পূর্ণ মর্যাডায় দেহ সৎকার করার জন্য সব রকমের ব্যবস্থা করবে তারা। কিন্তু কোথায় সৎকার হবে, সেই সদুত্তর নেই পুরসভার কাছেও। ফিরহাদ হাকিম নিজেই জানিয়েছেন সৎকারের জায়গার অভাব তৈরি হয়েছে।

কেন সৎকারের জায়গার অভাব?

শহরে মাত্র ১০ টি চুল্লিতে করোনার মৃতদেহ দাহ করা হয়। যার মধ্যে ধাপয় ৬টি নিমতলায় ২টি, বিরজুনালায় ২ টি। একেকটি চুল্লিতে দিনে ১৫টি করে দেহ দাহ করা হয়। একেকটি দেহ দাহ করতে ১ ঘণ্টা সময় লাগে, ফলে এক দিনে ১৫-র বেশি দেহ দাহ করা সম্ভব নয়। এছাড়া প্লাস্টিকে মোড়া দেহ বিকল করে দিচ্ছে চুল্লি। মাঝে মধ্যেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে একাধিক চুল্লি।

Next Article