কলকাতা: রাজ্যের অনুদান বন্ধ। বাংলায় চরম সমস্যায় এনসিসি। ৬ বার তদ্বির করেও নড়েনি টনক। মুখ্যসচিব-অর্থসচিবকে চিঠিতেও মেলেনি সুরাহা। এবার ডিজি এনসিসি-কে নালিশ ঠুকলেন ন্যাশনাল ক্যাডেট কর্পস (NCC)-এর দায়িত্বে থাকা কম্যান্ডিং অফিসার সেনগুপ্ত। মেজর জেনারেলের চিঠিতে সরব হয়েছেন বিরোধীরাও। কম্যান্ডিং অফিসারের তরফে এও বলা হয়েছে, বরাদ্দ না হলে নতুন করে এনসিসিতে আর নিয়োগ সম্ভব নয়।
বাংলায় এনসিসি-র যিনি দায়িত্ব রয়েছেন, তিনি ডিজিকে লেখা চিঠিতে জানিয়েছেন, রাজ্যের অনুদানের এনসিসি-র পরিকাঠামো ব্যাহত হচ্ছে। বিষয়টি তিনি একাধিকবার মুখ্যসচিব ও অর্থসচিবকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন। কিন্তু তারপরও বদলায়নি পরিস্থিতি। এনসিসি-র ফান্ডে বছরে পাঁচ কোটি টাকার অনুদান দেওয়ার কথা। সেই টাকা রিলিজ করা হচ্ছে না। গত মার্চ-এপ্রিল মাসে মাত্র ৮০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে রাজ্যের তরফে। ফলে এনসিসি ক্যাডাররা চরম সমস্যায় পড়েছেন।
কমান্ডিং অফিসারের তরফে রাজ্যের কাছে যখন অনুদানের জন্য তদ্বির করা হয়, তখন স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়, এখন তাদের কাছে অর্থ নেই, তাই তারা বরাদ্দ করতে পারছে না। সেক্ষেত্রে ক্যাম্পিংও করতে পারছে না এনসিসি। এনসিসি-র কমান্ডিং অফিসারের তরফে ডিজিকে এও জানানো হয়েছে, রাজ্যের তরফে অসহযোগিতা মিলছে। তাতে আগামী দিনে এনসিসি চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না।
এই বিষয়টি নিয়ে সরব বিরোধীরাও। বাম পরিষদীয় দলের নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “এনসিসি ক্যাডাররা বঞ্চিত।মেলায় টাকা আছে, খেলায় টাকা আছে, নাচ-গানে টাকা আছে, যে চেয়ার মুছে দেবে, তাঁকে প্রাইজ দেওয়ার জন্য টাকা আছে, আর এনসিসি-র জন্য টাকা নেই। পশ্চিমবঙ্গকে সর্বনাশ করার জন্য যা যা করার দরকার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাই করছেন।”
অন্যদিকে, তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, “এটা নিঃসন্দেহে ভাল প্রোগাম। এমনিতে টাকাটা আসে কেন্দ্রীয় সরকার থেকে। রাজ্য সরকারও একটা অংশ দেয়। বোধহয় চার ভাগের এক ভাগ। সেটা কেন আটকে গিয়েছে, তা আমি জানি না। যেটা জানি না, সেটা নিয়ে বলা ঠিক হবে না। তবে নীতিগতভাবে তো রাজ্য সরকার চায় না, এনসিসি বন্ধ হয়ে যাক।”
বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ” রাজ্য সরকারের ভাঁড়ার একদম খালি। বিভিন্ন প্রকল্পেও টাকা দিতে পারছে না। এনসিসি- তরুণদের মধ্যে দেশাত্মবোধ জাগায়, এমন একটা কোর্সও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আমার মনে হয়, এর মধ্যে দূরভিসন্ধিও রয়েছে। এনসিসি ক্যাম্প চলবে, সেটা রাজ্য সরকার চায় না। পিএফআই-এর ক্যাম্প চলুক, সেটাই রাজ্য চায়।”