North Bengal Medical College: হলে ফোন হাতে RMO, কথা পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে! হবু ডাক্তারদের পরীক্ষার ভিডিয়োয় প্রকাশ্যে স্বাস্থ্যের হাল!

Sourav Dutta | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jul 29, 2023 | 12:27 PM

North Bengal Medical College: ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুহৃতা পাল হল পরিদর্শন করে সবে বেরিয়ে যান। তারপরই হলে ঢোকেন বর্ধমান মেডিক্যালের আরএমও অভীক দে। মোবাইল হাতে পরীক্ষা হলে ঢুকেছেন তাই নয়, তিনি পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে কথাও বলছেন।

North Bengal Medical College: হলে ফোন হাতে RMO, কথা পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে! হবু ডাক্তারদের পরীক্ষার ভিডিয়োয় প্রকাশ্যে স্বাস্থ্যের হাল!
পরীক্ষা হলে ফোন হাতে RMO
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: আরএমও-র মদতেই চলছে উত্তরবঙ্গ মেজিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চলছে টোকাটুকি! TV9 বাংলার হাতে এসেছে বিস্ফোরক ভিডিয়ো। ফোন হাতে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আরএমও পরীক্ষার হলে। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, মোবাইল হাতেই এক পরীক্ষার্থী অর্থাৎ হবু ডাক্তারের পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছেন তিনি। তাঁর সঙ্গে কথা বলছেন। দেখা যাচ্ছে, RMO-র সঙ্গে কথা বলেই কিছু একটা খাতায় লিখলেন পরীক্ষার্থী। বর্ধমান মেডিক্যালের RMO- অভীক দে-র ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠল। TV9 বাংলার হাতে এসেছে এক্সক্লুসিভ সেই ভিডিয়ো ফুটেজ। স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কাঠগড়ায় স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। যদিও ভিডিয়োর সত্যতা প্রমাণ করেনি TV9 বাংলা।

ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুহৃতা পাল হল পরিদর্শন করে সবে বেরিয়ে যান। তারপরই হলে ঢোকেন বর্ধমান মেডিক্যালের আরএমও অভীক দে। মোবাইল হাতে পরীক্ষা হলে ঢুকেছেন তাই নয়, তিনি পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে কথাও বলছেন। ইতিমধ্যেই নিয়োগ সংক্রান্ত একটি বিষয়ে স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুহৃতা পালকে চিঠি দিয়েছেন আচার্য সিভি আনন্দ বোস। তার মধ্যেই বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করেছে এই ভিডিয়ো।

স্বাস্থ্য় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় গণটোকাটুকি নিয়ে আগেই অভিযোগ উঠেছে। এবার তার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। ২৬ মে পরীক্ষা ছিল। অভীক দে বর্ধমান মেডিক্যালের আরএমও। প্রশ্ন হচ্ছে, অন্য একটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আরএমও হয়ে তিনি কীভাবে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের পরীক্ষার হলে ঢুকলেন? আদৌ সেখানে তাঁর কী কাজ ছিল? একজন ইনভিজিলেটরের হাতে মোবাইল ফোন থাকার কথা নয়। কিন্তু মোবাইল হাতে ছাত্রের সঙ্গে কথা বলছেন, কিছু দেখছেন কেন? অভিযোগ উঠছে, এটাই নকল করার ক্ষেত্রে মদত দেওয়া হচ্ছে।

এই নিয়ে বিতর্কে মুখ খোলে স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়। স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুহৃতা পালের বক্তব্য, অভীক দে’কে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ইনভিজিলেটর নিয়োগ করা হয়েছে। প্রাক্তন স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তাদের প্রশ্ন, বর্ধমানের আর‌এম‌ও কে কেন উত্তরবঙ্গের মেডিক্যাল কলেজের পর্যবেক্ষক নিয়োগ করতে হল? পর্যবেক্ষকের জন্য চিকিৎসক কি কম পড়েছে?পর্যবেক্ষকের হাতেই বা মোবাইল কেন ? কেন মোবাইল হাতে ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলছেন তিনি? এই প্রশ্নের প্রেক্ষিতে উপাচার্যের বক্তব্য, একজন চিকিৎসকের ক্ষেত্রে মোবাইল হাতে পরীক্ষার হলে ঢোকার ক্ষেত্রে বাধা নেই। যার প্রেক্ষিতে প্রাক্তন ডিএম‌ই’দের পাল্টা বক্তব্য, উপাচার্য ঠিক বলছেন না। মোবাইল হাতে পরীক্ষার হলে ঢোকার নিয়ম নেই।

কিন্তু মোবাইল হাতে কেন ? সে প্রশ্নের কোনও উত্তর মেলেনি। আরএমও অভীক দেও এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। ঘটনাটি দু’মাস আগের। সেক্ষেত্রে এই পরীক্ষা কি আদৌ বাতিল করেছে স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়? তাও নয়। তাহলে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

Next Article