কলকাতা ও দার্জিলিং : এগিয়ে আসছে পাহাড়ের ভোট। ২৬ জুন জিটিএ নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সূত্রের খবর, ২৭ মে জিটিএ নির্বাচন নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি হতে পারে। এই নিয়ে শনিবার দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের জেলাশাসকদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে বৈঠক করেছেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাহাড় সফরে গিয়েই জিটিএ নির্বাচনের দামামা বাজিয়ে এসেছিলেন। পাহাড়ের সব রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। যদিও সেই সময় পাহাড়ের বেশ কিছু রাজনৈতিক দল জিটিএ নির্বাচনের বিরোধিতা করেছিল বলেই খবর। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব বি পি গোপালিকা এবং স্বরাষ্ট্র দফতরের আরও বেশ কয়েকজন আধিকারিকদের সঙ্গে দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের জেলাশাসকের ওই বৈঠকেই স্থির হয়েছে সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে, চলতি মাসের ২৭ তারিখই জিটিএ নির্বাচনের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আগামী মাসের ২৬ তারিখই জিটিএ নির্বাচন হতে চলেছে বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, GNLF-এর তরফ থেকে এই জিটিএ নির্বাচন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছিল। কলকাতা হাইকোর্ট এই নির্বাচনের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার জন্য রাজ্য সরকারকে পরামর্শ দিয়েছিল। আগামী ২১ জুন এই বিষয়ে পরবর্তী শুনানি রয়েছে। তবে তার আগেই এই ধরনের সিদ্ধান্তে, রাজ্য সরকার ধাক্কা খাবে কি না, সেই প্রসঙ্গ ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে।
এদিকে পাহাড়ের রাজনীতিও বেশ পরিবর্তনশীল। বিমল গুরুং ইতিমধ্যেই রাজু বিস্তার সঙ্গে এক প্রস্থ বৈঠক করেছেন বলে শোনা যাচ্ছে। তিনি আবার বিজেপির দিকে ঝুঁকছেন, এমন গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছে। এর পাশাপাশি বিজেপির কালিম্পংয়ের বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা বলেছেন, জিটিএ নির্বাচনকে ঘিরে যদি অশান্তি হয়, তবে তার দায় থাকবে রাজ্য সরকারেরই।
ঠিক এমনই একটি রাজনৈতিক টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যেই যদি কোনও অঘটন না হয়, তাহলে ২৬ জুন পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচন হতে চলেছে। সেদিক থেকে রাজ্য সরকারের এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে বলেই মনে করছেন রাজ্য রাজনীতির পর্যবেক্ষকরা।