যাদবপুর: বছর আড়াই আগে বড়সড় নম্বর বিভ্রাটের কথা শোনা গিয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University)। অ্যাডাল্ট কন্টিনিউয়িং এডুকেশন অ্যান্ড এক্সটেনশন বিভাগের অধীনে থাকা সাংবাদিকতা ও গণজ্ঞাপন কোর্সে ‘গণফেলের’ অভিযোগে ব্যাপক শোরগোল শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে। একযোগে ‘ফেল’ করে যান চল্লিশের বেশি পরীক্ষার্থী। যদিও পরবর্তীতে ছাত্র আন্দোলনের মুখে পুনরায় উত্তরপত্র রিভিউয়ে পাঠায় কলেজ কর্তৃপক্ষ। পাশ করে যান ফেল করা পড়ুয়াদের সিংহভাগ অংশ। এবার কার্যত একই প্রতিচ্ছবি দেখা গেল সায়েন্স ফ্যাকাল্টির অন্তর্গত পদার্থবিদ্যা বিভাগে। নম্বর বিভ্রাটের জেরে কাঠগড়ায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম(জেইউএমএস) বা জুমসে (JUMS)।
পদার্থবিদ্যা বিভাগের এক অধ্যাপকের দাবি, তিনি যে নম্বর দিয়েছেন পড়ুয়াদের গ্রেড কার্ডে সেই নম্বর প্রতিফলিত হয়নি। তাঁর দেওয়া আসল নম্বরের থেকে গ্রেড কার্ডে অনেক পড়ুয়ার নম্বর বেড়ে গিয়েছে। আবার অনেক পড়ুয়ার নম্বর কমে গিয়েছে। এই খবর সামনে আসতেই তা নিয়ে বিস্তর চাপান-উতর শুরু হয়েছে যাদবপুরের পড়ুয়াদের মধ্যে। ইতিমধ্যেই যাদবপুরের সহ-উপাচার্য স্যমন্তক দাসের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই অধ্যাপক। একইসঙ্গে অভিযোগ গিয়েছে কন্ট্রোলার অব এক্সামিনেশনের কাছে। প্রসঙ্গত, যাদবপুরের নতুন সিস্টেমে নম্বর এন্ট্রি করা হয় অনলাইনে। অনলাইনেই যাবতীয় কাজ চলে জুমের অধীনেই। সেখানে নম্বর তোলার সময় ভুল হতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। যে সফটওয়্যারে এই নম্বর অন্তর্ভুক্ত করা হয় তাতেও ভুল হয়ে থাকতে পারে।
এ প্রসঙ্গে সহ-উপাচার্য স্যমন্তক দাস বলেন, “আমাদের এখানে নিজস্ব পোর্টালেই নম্বর এন্ট্রি করা হয়। সেখানেই কিছু ভুল থেকে থাকতে পারে। যে কোনও ডেটা প্রসিংয়ের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম ভুল হয়ে থাকে। কোনও ব্যক্তির ভুল তা হতে পারে আবার সেটা কম্পিউটারের কারণে হয়ে থাকতে পারে। অধ্যাপক আমার কাছে নম্বর ভুলের অভিযোগ জানাতেই আমি তৎক্ষণাৎ তাঁকে কন্ট্রোলার অব এক্সামিনেশনও ও অ্যাসিস্ট্যান্ট কন্ট্রোলারের কাছে মেল করতে বলি। উনি অভিযোগ করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তা সংশোধন করে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগকারী অধ্যাপককেও তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে”।