কলকাতা: জোড়াবাগানে (Jorabagan) বন্ধ ঘরের থেকে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় এক বৃদ্ধ দম্পতিকে। বৃদ্ধের নাম দেবব্রত চৌধুরী, বয়স ৭৮ বছর এবং স্ত্রীর নাম স্বস্তিকা চৌধুরী, বয়স ৭৫ বছর। মঙ্গলবার জোড়াবাগানের মানিক বোস ঘাট স্ট্রিটের ধারে একটি তিনতলা বাড়ির ভিতর থেকে বেলা এগারোটা নাগাদ তাঁদের উদ্ধার করা হয়। তড়িঘড়ি দুইজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু আর জি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক দেবব্রতবাবুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাঁর স্ত্রী স্বস্তিকা চৌধুরী এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ওই দম্পতির কোনও সন্তান নেই। কিছুদিন আগে দেবব্রতবাবু বাড়িতে খাট থেকে পড়ে গিয়েছিলেন। সেই সময়ে কোমরে চোট পেয়েছিলেন তিনি। স্ত্রীও অসুস্থ। স্পন্ডেলাইসিসের সমস্যার ভুগছেন তিনি। ফলে বৃদ্ধ দম্পতি টুকটাক দেখভাল দেবব্রতবাবুর ভাইরাই করতেন। জানা গিয়েছে, আজ দম্পতির চিকিৎসকের কাছে চেক আপের জন্য যাওয়ার কথা ছিল। সেই জন্য তাঁদের বাড়ি আনতে গেলে মুখ থেকে গ্যাজলা বেরোতে দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছিল। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে দেবব্রতবাবুকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। তবে স্ত্রী এখনও বেঁচে আছেন।
কী কারণে ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হল, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। তাঁদের মুখ থেকে কী কারণে গ্যাজলা বেরোচ্ছিল? তাঁরা কি কোনও কারণে বিষপান করেছিলেন? এমন বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরা। জোড়াবাগান থানা পুলিশ ঘটনার সব দিকগুলি খতিয়ে দেখছে।
এদিকে বুধবারই কলকাতার ওয়াটগঞ্জ থানা এলাকায় একটি তিনতলা বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে এক বৃদ্ধ গুরুতর আহত হন। বছর আশির ওই বৃদ্ধের নাম জওহরলাল চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। তবে কীভাবে তিনি পড়ে গেলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনাস্থল থেকে কোনও সুইসাইড নোটও পাওয়া যায়নি বলেই খবর।