কলকাতা : কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে গ্রেফতার ভুয়ো চিকিৎসক। ধৃতের নাম শেখ সানোয়ার হোসেন। বছর ২৫-এর ওই যুবকের বাড়ি হাওয়ার আমতা থানা এলাকায়। চিকিৎসক সেজে রোগীদের কাছে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। গত পাঁচ মাস ধরে সানোয়ারের খোঁজ চালাচ্ছিলেন মেডিক্যাল কলেজে অবস্থিত ফাঁড়ির পুলিশকর্মীরা। অভিযোগ, রোগীর পরিজনদের থেকে কম দামে ওষুধ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা নিত ওই ভুয়ো চিকিৎসক। রোগীর পরিজনরা সেই ফাঁদে পা দিয়ে টাকা দিলেই তারপর আর খুঁজে পাওয়া যেত না সানোয়ারকে। এভাবে প্রায় কয়েক হাজার টাকা রোগীর পরিজনদের থেকে হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
পাঁচ মাস ধরে তক্কে তক্কে ছিল পুলিশ। মঙ্গলবার সিসি ক্যামেরায় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাবে শিকারের উপস্থিতি নিশ্চিত হতেই আমতার বাসিন্দা শেখ সানোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। ভুয়ো ডাক্তার সেজে রোগীর পরিজনদের কাছে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছিল সানোয়ারের বিরুদ্ধে। আমতার বাসিন্দার আদব-কায়দা দেখে রোগীর পরিজনেরা বুঝতেই পারছেন না সানোয়ার আদতে ঠগ। রোগীর পরিজনদের বিশ্বাস অর্জন করে দামী ওষুধ কম খরচে পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা হাতিয়ে নিত ধৃত ব্যক্তি। কারও কাছে হাজার পাঁচ, তো কারও কাছে আরও বেশি। কোভিডের সময় মুখে মাস্ক থাকায় ধৃতকে চিহ্নিত করতে অসুবিধা হচ্ছিল পুলিশের।
হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্তের আদব কায়দা চিহ্নিত করা হয়। এদিন হাসপাতালের ওয়ার্ডে সানোয়ারের উপস্থিতি দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। জিজ্ঞাসাবাদ করতেই নিজের দোষ কবুল করে নেয় অভিযুক্ত। ওয়ার্ডে উপস্থিত এক রোগীও জানিয়েছেন, ভুল বুঝিয়ে চার হাজার টাকা তাঁর কাছ থেকে হাতিয়েছে সানোয়ার।
উল্লেখ্য, মাসখানেক আগেও দুই ভুয়ো চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়েছিল কলকাতা থেকে। একজন নিজেকে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ বলে দাবি করত। অন্যজন আবার নিজেকে তার সহযোগী বলে দাবি করত। মার্চ মাসে রবীন্দ্র সরোবর থানার পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছিল। এরপর মঙ্গলবার ফের খাস কলকাতা থেকে গ্রেফতার আরও এক ভুয়ো ডাক্তার।