কলকাতা: রাস্তার ধারে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল এক যুবক । গুরুতর জখম। রক্তে মাখামাখি সারা শরীর। সেই অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল আর জি কর হাসপাতালে। চিকিৎসাও শুরু হয়েছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা আর হল না। গতরাতে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই মৃত্যু হয় ওই যুবকের। মৃত ওই যুবকের নাম শিমুল বিশ্বাস। বয়স ৩৫ বছর। বাড়ি নিউটাউনের (New Town Murder) জ্যোতিনগরে। আর এই যুবকের মৃত্যু ঘিরেই একাধিক রহস্য ঘনীভূত হতে শুরু করেছে। কীভাবে এই যুবকের মৃত্যু হল, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। ঘটনায় ইতিমধ্যে পরিবারের তরফে নিউটাউন থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে যুবকের দুই বন্ধুকেও। বুধবার তাদের বারাসত আদালতে পেশ করা হবে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার রাতে নিউটাউনের জ্যোতিনগরে বাড়ির পাশেই বসেছিল শিমুল। ঘড়িতে তখন রাত প্রায় ন’টা। শিমুলের মোবাইলে চারটি ফোন এসেছিল সেই সময়। পরে আরও রাতের দিকে বাইকে চেপে শিমুলের চার বন্ধু এসেছিল তার খোঁজে। শিমুলকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় তাঁরা। তখন রাত ১১টা পেরিয়ে গিয়েছে। পরিবারের দাবি, বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় ১১ হাজার টাকা নিয়ে বেরিয়েছিল শিমুল। এরপর সেই রাতেই বাগজোলা খালপাড়ে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় শিমুলকে। গোটা ঘটনাই বেশ রহস্যময়। কেন তার বন্ধুরা ডেকে নিয়ে গিয়েছিল, কেনই বা শিমুল ১১ হাজার টাকা নিয়ে বেরিয়েছিল, সেই সব কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না পরিবারের লোকেরা।
এদিকে পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, শিমুল যে ১১ হাজার টাকা নিয়ে গিয়েছিল, রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধারের পর সেই টাকা আর শিমুলের সঙ্গে ছিল না। তাহলে সেই টাকা গেল কোথায়? তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এদিকে শিমুলের দেহে একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন মিলেছে বলেও পুলিশ সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। এদিকে ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ ওই যুবকের বন্ধুদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। দুই বন্ধুর কথায় অসঙ্গতি মেলায় তাদের গ্রেফতারও করা হয়েছে।