কলকাতা: ছাত্রমৃত্যুর মাঝেই ফের উত্তপ্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। র্যাগিং-এর বিরুদ্ধে সোমবার যাদবপুরে জেনারেল বডির বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেই জেনারেল বডির বৈঠক চলাকালীনই দুই ছাত্র সংগঠনের মধ্যে সংঘর্ষের অভিযোগ। যাদবপুরের পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে এদিন জিবি ডাকা হয়েছিল। সেই জেনারেল বডির বৈঠক চলাকালীন এসএফআই ও ডাব্লুটিআই-এর মধ্যে সংঘর্ষের বাতাবরণ তৈরি হয় বলে জানা যাচ্ছে। এসএফআই-এর অভিযোগ, ডাব্লুটিআই-এর তরফে তাদের উপর হামলা চালানো হয়েছিল। তাতে একজন এসএফআই নেতা গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। আক্রান্ত এসএফআই নেতার নাম শুভম মল্লিক। তিনি এসএফআই-এর যাদবপুরের সায়েন্স ইউনিটের সম্পাদক বলে জানা যাচ্ছে। আহত ওই এসএফআই নেতাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
জানা যাচ্ছে, এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েন্স ইউনিটের জেনারেল বডির বৈঠক চলছিল। সেখানে বিজ্ঞান বিভাগের সব সংগঠনের প্রতিনিধিরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এরই মধ্যে এসএফআই-এর সঙ্গে ডাব্লুটিআই-এর কথা কাটাকাটি ও পরে সংঘর্ষের পরিবেশ তৈরি হয় বলে জানা যাচ্ছে।
সোমবার বিকেলের এই সংঘর্ষের ঘটনায় ডাব্লুটিআই ও রাজ্যের শাসক দলকে একহাত নিয়েছেন এসএফআই নেতা সৃজন ভট্টাচার্য। তাঁর বক্তব্য, তৃণমূলের ছায়া সংগঠন হিসেবে যাদবপুরে কাজ করে এই ডাব্লুটিআই। বলছেন, ‘তৃণমূলে বাইরে যে গুন্ডামি করে, সেটা যাদবপুরের ভিতরে করতে পারে না। যাদবপুরের ভিতরে তাদের বিভিন্ন শ্যাডো অর্গানাইজেশন বা ছায়া সংগঠন বসে রয়েছে। কোথাও ফ্যাস, ডিএসএফ, কোথাও ডাব্লুটিআই ইত্যাদি। এরাই এই গুন্ডামি করে। মুখ্যমন্ত্রী সিপিএমের ঘাড়ে দোষ চাপাতে চাইছেন। আর এসএফআই-কে এরা মারধর করছে। এই গুন্ডামির সংস্কৃতি বাকি বাংলার ক্যাম্পাসে তৃণমূলের হাত ধরে হয়, এখানে তা ফ্যাস-ডাব্লুটিআই-এর মাধ্যমে হয়।’
যদিও এদিন বিকেলের ঘটনা প্রসঙ্গে এখনও পর্যন্ত ডাব্লুটিআই-এর তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। প্রসঙ্গত, এখনও পর্যন্ত যাদবপুরের পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনায় যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যেও একজনের এই ডাব্লুটিআই-এর সঙ্গে যোগ রয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। এরই মধ্যে জেনারেল বডির বৈঠকের সময় দুই ছাত্র সংঘর্ষের অভিযোগে নতুন করে উত্তপ্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।