বাঁশদ্রোণী: প্রথমে মদ্যপান। তারপর বচসা। এর জেরে খুনের ঘটনা ঘটল রাতের কলকাতায়। জানা গিয়েছে, মদের আসরে চলছিল দুই বন্ধুর মধ্যে ঝামেলা। যার জেরে খুন হন একজন। গোটা ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সব গ্রেফতার আরও একজন। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ।
ঘটনাস্থল ১১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাঁশদ্রোণা থানার দীনেশ নগর এলাকা। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম প্রসেনজিৎ দাস। রিজেন্ট পার্ক থানার দক্ষিণ আনন্দ পল্লীর বাসিন্দা তিনি। টালিগঞ্জের স্টুডিও পাড়ায় লাইটের কাজ করতেন প্রসেনজিৎ। ঘটনায় অভিযুক্ত বন্ধুর নাম কৌশিক বাড়ুই। স্থানীয় সূ্ত্রে খবর, কৌশিক ও প্রসেনজিতের মধ্যে গতকাল বচসা বাধে। অভিযোগ, তার থেকেই কৌশিক প্রসেনজিৎকে ছুরি মারে বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় প্রসেনজিৎকে উদ্ধার করে অন্য বন্ধুরা মিলে এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার পর পরিবারের সদস্যরা বাঁশদ্রোণী থানায় অভিযোগ করতে এলে তাদেরকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
পরে পরিবারের সদস্যরা ক্ষোভে ফেটে পড়ে। থানার সামনে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখায় পরিবারের সদস্যরা। মৃত প্রসেনজিৎ-এর পরিবারের দাবি মৃত্যুর পর পরিবারের সদস্যদের মৃতদেহ না দেখিয়ে কেন দ্রুত মর্গে ঢোকান হল? বাঁশদ্রোনি থানার পুলিশ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত কৌশিক সহ আরও এক বন্ধুকে গ্রেফতার করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। মৃতের বাবা বলেন, “আমরা শুনলাম ছেলেটাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছে। আমরা হাসপাতালে পৌঁছই। গিয়ে জিজ্ঞাসা করি ছেলে কোথায়? পুলিশ বলছে মর্গে ঢুকিয়ে দিয়েছে।” মৃতের এক বন্ধু বলেন, “ওরা বন্ধু-বান্ধবরা মিলে খাওয়া-দাওয়া করছিল। ছেলে মানুষ একটু নেশা করছিল। ওদের মধ্যে কী ঝগড়া হয়েছে জানি না। তারপর শুনি এই ঘটনা। ওকে ছুরি মেরে দিয়েছে।”