কলকাতা: গার্ডেন রিচের আমির খানের পর এবার হাওড়ার শিবপুরের শৈলেশ পান্ডে। ফের টাকার পাহাড়! গাড়ি থেকেই উদ্ধার হয়েছে ২ কোটি ২০ লক্ষ টাকা, সঙ্গে কয়েক লক্ষের সোনা-হিরের গয়না। এক্ষেত্রেও অনলাইন প্রতারণারই সন্দেহ করছেন তদন্তকারীরা। তবে আমিরের পর শৈলেশের এই কীর্তিতে আরও একবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠল একটি প্রশ্ন। আদৌ কি গুগল প্লে স্টোরে থাকা অ্যাপগুলি নিরাপদ? কী বলছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা? শুনলে আঁতকে উঠবেন।
সাইবার বিশেষজ্ঞ বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, “গুগল প্লে স্টোরে যতগুলো অ্যাপ রয়েছে। কোনও অ্যাপই গুগল ভেরিফাই করে আপলোড করার জন্য অনুমতি দেয় না। আমরা রিভিউ থেকে দেখতে পারি, কোন অ্যাপটা ভাল, কোনটা খারাপ। কিন্তু সেই রিভিউও সব সময় ঠিক থাকে না। অনেক ক্ষেত্রে টাকা দিয়েও রিভিউ লেখানো হয়ে থাকে। এসইও অর্থাৎ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করানো হয়, রিভিউ লেখানো হয়। তবে আমাদের এই সহজেই বড় লোক হওয়ার প্রবণতাটাকে সংযম করতে হবে।”
অতিমারি পরিস্থিতিতেই মানুষ যে ঘরে বসে আরও বেশি করে মোবাইল, অনলাইন গেমের প্রতি আসক্ত হয়েছেন, তা আগেও বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। আর এই সুযোগটাকেই কাজে লাগিয়েছেন প্রতারকরা। বিস্তার করেছেন প্রতারণার জাল। অল্পতেই বড় লোক হওয়ার স্বপ্ন মানুষকে করেছে নিঃস্ব, নিয়েছে প্রাণও। বিশেষজ্ঞের কথায় , “মূলত কোভিডের সময়ে মানুষ গেমের প্রতি আসক্ত হয়েছেন। জুয়া খেলাও চলছে। গেম খেলতে গিয়ে সব শেষ হচ্ছে মানুষের। এমন ঘটনার নজিরও কম নেই।” তাহলে বাঁচবার উপায়? কীভাবে চিহ্নিত করা যাবে কোন অ্যাপগুলি নিরাপদ নয়? বিশেষজ্ঞের এটাতেও চোখ কান খোলা রাখতে হবে আপনাকেই।
তিনি বলেন, ” মূলত যে কোম্পানিগুলি গেম প্রমোট করা হয়, সেই কোম্পানিগুলিকে চেপে ধরতে হবে। যে গেম গুলি স্কিলের মধ্যে পড়ে, তা বিপজ্জনক নয়। কিন্তু যে গেমগুলি থেকে বেটিং কিংবা টাকাপয়সা ডিলিংয়ের ব্যাপার হচ্ছে, এটা আপনি কিছুটা খেলার পরই বুঝতে পেরে যাবেন, সেগুলিকে বর্জন করতে হবে অতি দ্রুত।”
আমিরের মতোই অ্যাপ মারফত প্রতারণার গন্ধ শৈলেশের ক্ষেত্রেও পাচ্ছেন তদন্তকারীরা। তবে কতটা ছড়িয়ে রয়েছে প্রতারণা জাল? সেটাই এখন তলিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।