Dipankar Bhattacharya : সিঙ্গুর আন্দোলনে একমাত্র আমাদের কমরেডরাই মার খেয়েছে: দীপঙ্কর

Dipankar Bhattacharya : পঞ্চায়েত হোক বা বিধানসভা, ২০১১ সালের পরবর্তী সময়ে যতবারই বাংলায় ভোট হয়েছে ততবারই রাজনৈতিক তরজায় ফিরে ফিরে এসেছে সিঙ্গুর প্রসঙ্গ। এমনকী সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা যায়, “টাটাকে আমি তাড়াইনি, সিপিএম তাড়িয়েছে।”

Dipankar Bhattacharya : সিঙ্গুর আন্দোলনে একমাত্র আমাদের কমরেডরাই মার খেয়েছে: দীপঙ্কর
সিপিআইএমএল (লিবারেশন) -এর সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 24, 2022 | 11:16 PM

কলকাতা: বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election)। সরগরম বাংলার রাজনৈতিক ময়দান। ভোটের মুখে বারবার শাসক হোক বা বিরোধীদলের মুখে ফিরে ফিরে আসছে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের (Singur-Nandigram) কথা। “সিঙ্গুর আন্দোলনে একমাত্র আমাদের কমরেডরাই মার খেয়েছে”। ‘কথাবার্তা’ অনুষ্ঠানে টিভি-৯ বাংলার ম্যানেজিং এডিটর অমৃতাংশু ভট্টাটার্যকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথাই বললেন সিপিআইএমএল (লিবারেশন) -এর সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য (Dipankar Bhattacharya)। সিঙ্গুর আন্দোলনের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে এদিন তিনি বলেন, “সিঙ্গুর আন্দোলনে একমাত্র আমাদের কমরেডরাই মার খেয়েছে। জেলে গিয়েছে আমাদের কর্মীরাই। প্রথমদিন থেকে ওখানে আমাদের কমরেডরা পড়ে থেকে লড়াই চালিয়ে গিয়েছে। পরবর্তীতে এটা বড় রাজনৈতিক পটভূমিতে চলে যায়। তৃণমূল কংগ্রেস চলে এসেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনশন করেছেন।” 

পঞ্চায়েত হোক বা বিধানসভা, ২০১১ সালের পরবর্তী সময়ে যতবারই বাংলায় ভোট হয়েছে ততবারই রাজনৈতিক তরজায় ফিরে ফিরে এসেছে সিঙ্গুর প্রসঙ্গ। এমনকী সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা যায়, “টাটাকে আমি তাড়াইনি, সিপিএম তাড়িয়েছে।” তাহলে সিঙ্গুরে টাটাদের শিল্প হলে কি বাংলার শিল্পায়নের ছবিটা বদলে যেত? দীপঙ্করের উত্তর, “আমি এটা মনেই করি না। শিল্পায়নটা কেন সিঙ্গুর দিয়ে ব্যাখ্যা করব? এ তো অনেকটা মন্দির ওহি বানায়েঙ্গির মতো হচ্ছে। একটা কারাখানা দরকার। কারখানার জন্য অন্য জায়গা কী নেই? প্রচুর জায়গা আছে। তবে ওই কারাখানা গুজরাটে গিয়েও চলেনি। পরবর্তীতে টাটা নিজে বলেছে এটা ফ্লপ আইডিয়া।”

তাঁর আরও দাবি, সিঙ্গুরে শিল্প নিয়ে রোম্যান্টিসিজমের যে বাতাবরণ বাংলায় রয়েছে তার কোনও যৌক্তিকতা নেই। দীপঙ্করের অকপট মন্তব্য, “সিঙ্গুরে শিল্প হলে যেন একটা শিল্প বিপ্লব হয়ে যেত, আমার মনে হয় এটা বাজে কথা। তবে বাংলায় যেটা দরকার সেটা শিল্প, চাকরি। পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষাক্ষেত্রে, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে চাকরি দরকার। শিল্প তার একটা উপায়। তার একটা মাধ্যম।” 

বাম পথে হেঁটেছেন। কিন্তু, মূল ধারার বামপন্থী দলের সংসর্গ এড়িয়ে চলেছেন শুরু থেকেই। কেন? উত্তর দিতে গিয়ে এদিন ছোটবেলার স্মৃতিচারণায় ভেসে যান দীপঙ্কর। উঠে আসে নকশালবাড়ি আন্দোলনের কথা। ছাত্রাবস্থায় করা রাজনীতির কথা মনে করে তাঁকে বলতে শোনা যায়, “আমি যখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি তখন নকশালবাড়ি হচ্ছে। আমার স্কুলটা ছিল আলিপুরদুয়ার জংশনের কাছে। বাবা রেলে চাকরি করতেন। নকশালবাড়ি থেকে কাছেই ছিল ওই এলাকা। দেওয়ালে লেখা নানা রাজনৈতিক স্লোগান পড়তে পড়তে আমরা স্কুল থেকে বাড়ি ফিরতাম। ১৯৭৭ সালে আমি মাধ্যমিক পাশ করি। ওই বছরই ভারতের গণতন্ত্রের নব জন্ম। তখন থেকেই আমি ঠিক করি রাজনীতি করার কথা। অন্য কিছু আর ভাবিনি। আমার গোড়াটা যেহেতু নকশাল বাড়ি থেকে। নকশালবাদী রাজনীতির প্রতি আকর্ষণ তখন থেকেই। সে কারণেই অন্য কোনও দলে যাওয়ার কোনও ঝোঁক তৈরি হয়নি।”