কলকাতা: বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল কলকাতা ও হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকায়। পুলিশের সঙ্গে বিজেপির কর্মী ও সমর্থকদের খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে গিয়েছিল। জলকামান চলেছিল, কাঁদানে গ্যাসের শেল ফেটেছিল, লাঠিচার্জ হয়েছিল… পাল্টা ইট বৃষ্টিও হয়েছিল। পুলিশের গাড়িতে আগুন জ্বলেছিল। সেই ধুন্ধুমার পরিস্থিতির মধ্যেই গুরুতর জখম হয়েছিলেন কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়। ঘটনারল পর থেকেই এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি। এসএসকেএম-এর উডবার্ন ব্লকের ২১৬ নম্বর কেবিনে ভর্তি রয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার পুলিশকর্তার অস্ত্রোপচার হবে শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে। সকাল আটটায় হাড়ের অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। সেই মতো বুধবার থেকেই শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতাল জুড়ে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
আগামিকাল সকালে এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হবে শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে। সেখানে তাঁর অস্ত্রোপচারের সময় হাসপাতালে হাজির থাকতে পারেন কলকাতা পুলিশের পদস্থ কর্তারা। উল্লেখ্য, আহত পুলিশকর্তা দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকে তাঁকে দেখতে এসএসকেএম-এ ছুটে গিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারও আগে তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও দেখা করে গিয়েছিলেন দেবজিৎ বাবুর সঙ্গে। আহত পুলিশকর্তা কেমন রয়েছেন, তাঁর চিকিৎসা কেমন চলছে, সেই সব বিষয়ে চিকিৎসকদের থেকে খোঁজখবর নিয়েছিলেন তাঁরা। দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও কথা বলেছিলেন তাঁর বেশ কিছুক্ষণ। দেবজিৎ বাবুর সঙ্গে দেখা করে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে একহাত নিয়েছিলেন বিরোধীদের।
দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি মন্তব্য ঘিরে জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজ্য রাজনীতির অন্দরমহলে। পুলিশকর্মীদের ধৈর্যশক্তি ও সহনশীলতার কথা উল্লেখ করতে গিয়ে অভিষেক বলেছিলেন, তিনি সেই জায়গায় থাকলে ‘মাথার উপরে গুলি’ করতেন। আর এই মন্তব্য ঘিরে এখনও চর্চা অব্যাহত রাজ্য রাজনীতিতে। এমনই এক পরিস্থিতির মধ্যে বৃহস্পতিবার সকালে আহত পুলিশকর্তা দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের অস্ত্রোপচার হতে চলেছে শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে।