কলকাতা: শুক্রবার সন্ধ্যায় ফের একবার গ্রিন করিডর তৈরি হল শহরে। ঢাকুরিয়া থেকে এসএসকেএম পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হল দেহ। অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়েছে এসএসকেএমে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টা নাগাদ দেহ নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সাম্প্রতিককালে এমন অঙ্গদানের একাধিক নজির রয়েছে কলকাতা শহরে। ভিন রাজ্য থেকেও দেহ নিয়ে আসার নজির রয়েছে এ রাজ্যে। এই উদ্যোগের জন্য অনেক মানুষের জীবনে আশার আলো ফিরে আসে। কিডনি কিংবা লিভার, এমন অনেক অঙ্গের জন্য বহু মানুষের প্রাণহানি পর্যন্ত হয়। দেহদানে সেই সব রোগীরা প্রাণ ফিরে পান।
দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন হাবড়ার এক মহিলা। ৫৮ বছর বয়সী ওই মহিলার চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই মস্তিষ্কের মৃত্যু হওয়ায় অঙ্গ দানের সিদ্ধান্ত নেয় পরিবার। শুক্রবারই তাঁকে বিশেষ অ্যাম্বুল্যান্সে করে এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া হয়। শহরের সব সিগন্যাল সেই সময় সবুজ করে দেওয়া হয়।
ঢাকুরিয়ার বেসরকারি হাসপাতালে স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ দিব্যেন্দু রায়ের অধীনে ভর্তি করানো হয়েছিল ওই মহিলাকে। গত ৬ জুলাই ব্রেন ডেথ হয় তাঁর। হাসপাতালের তরফে বিষয়টা জানানো হয় পরিবারকে। তাঁরা অঙ্গদানে সম্মতি দেন। বিষয়টি স্বাস্থ্য ভবন ও আরওটিও-কে জানানো হয়। এরপরে সরকারি বিশেষজ্ঞ কমিটি পরীক্ষা করে ব্রেন ডেথের চূড়ান্ত ঘোষণা করে। শুক্রবারই সেই ঘোষণা করা হয়েছে। তারপরেই দেহ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এসএসকেএমে। কোন অঙ্গ কোথায় কোন রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেবে আরওটিও।
গত মাসেই এমন অঙ্গদানের নজির দেখা গিয়েছিল শহরে। এক তরুণীর ব্রেন ডেথের পর পরিবারে তরফে অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মৃতার হৃদযন্ত্র পাঠানো হয়েছিল হাওড়ার আন্দুলের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। দু’টি কিডনির প্রতিস্থাপন হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। লিভারও প্রতিস্থাপন হয় সেখানে। প্রিয়জনকে অন্যের মধ্যে বাঁচিয়ে রাখতেই এমন অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বহু পরিবার।