OTP Selling in Bengal: OTP-ও কেনাবেচা হয়! প্রতারণার জাল ছড়িয়ে মুর্শিদাবাদ থেকে পাকিস্তান

Susovan Bhattacharya | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Feb 07, 2024 | 2:50 PM

OTP Selling in Bengal: ধৃতদের জেরা করার পর পুলিশ জানতে পারে তাদের সঙ্গে দেশের অন্যান্য রাজ্যের বাসিন্দাদেরও যোগাযোগ আছে। হিমাচল প্রদেশের বাসিন্দা গৌরব শর্মার নাম প্রকাশ্যে আসে। এরপরই হিমাচলে যায় এসটিএফ-এর একটি টিম। স্থানীয় পুলিশের সাহায্যে তল্লাশি চালায় তারা। গ্রেফতার করা হয় গৌরবকে।

OTP Selling in Bengal: OTP-ও কেনাবেচা হয়! প্রতারণার জাল ছড়িয়ে মুর্শিদাবাদ থেকে পাকিস্তান
প্রতীকী ছবি
Image Credit source: GFX- TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: প্রতারণার চক্র যে কীভাবে সীমান্ত পার করে জাল বিস্তার করছে, তা রীতিমতো অবাক করে দেওয়ার মতো। মোবাইল হ্যার করে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ সামনে এসেছে একাধিকবার। কিন্তু তাই বলে ওটিপি কেনাবেচা! এমনটাও হয়? সেই চক্রেরই এবার হদিশ পেল রাজ্য পুলিশের বিশেষ ফোর্স বেঙ্গল এসটিএফ। হোয়াটসঅ্যাপে ওটিপি বিক্রির অবৈধ চক্র চালানোর অভিযোগে মূল পাণ্ডাকে হিমাচল প্রদেশ থেকে গ্রেফতার করল বেঙ্গল এসটিএফ। ওই চক্রের জাল পাকিস্তান এবং চিনে ছড়িয়ে থাকতে পারে, এমন সম্ভাবনার কথাও জানতে পারছে পুলিশ। মুর্শিদাবাদে দায়ের হওয়া একটি অভিযোগ থেকেই এই চক্রের হদিশ মেলে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

দু সপ্তাহ আগে, মুর্শিদাবাদ, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান জেলা থেকে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ওটিপি (OTP) কেনাবেচার অভিযোগে। এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, নকল সিম কার্ড বানিয়ে ওটিপি তৈরি করা হয়, তারপর ওটিপি বিক্রি করে দেওয়া হয় হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে। মুর্শিদাবাদে দায়ের হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়।

ধৃতদের জেরা করার পর পুলিশ জানতে পারে তাদের সঙ্গে দেশের অন্যান্য রাজ্যের বাসিন্দাদেরও যোগাযোগ আছে। হিমাচল প্রদেশের বাসিন্দা গৌরব শর্মার নাম প্রকাশ্যে আসে। এরপরই হিমাচলে যায় এসটিএফ-এর একটি টিম। স্থানীয় পুলিশের সাহায্যে তল্লাশি চালায় তারা। গ্রেফতার করা হয় গৌরবকে।

জানা যায়, ওটিপি কেনাবেচার আন্তর্জাতিক চক্রের সঙ্গে যোগ রয়েছে গৌরব শর্মার। জানা গিয়েছে, বিভিন্ন অনলাইন পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা থেকে ওটিপি সংগ্রহ করেন ওই ব্যক্তি। তারপর ফোন নম্বর সহ ওটিপি বিক্রি করে দেওয়া হয় হোয়াটসঅ্যাপ বা টেলিগ্রাম অ্যাপের মাধ্যমে। টাকার লেনদেন হয় ইউপিআই-এর মাধ্যমে। ওই ব্যক্তির সঙ্গে পাকিস্তান ও চিনের লোকজনের লেনদেন হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না গোয়েন্দারা।

পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, সাধারণত সিম ক্লোন করে ওটিপি সংগ্রহ করা হয়। ধরা যাক একটি ফোন নম্বরের সিম ক্লোন করা হল, তারপর থেকে ওটিপি যাবে ওই ভুয়ো নম্বরে। ফলে, সহজেই গ্রাহকের তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হবে। একদল লোক সিম ক্লোন করার কাজে যুক্ত থাকে, আবার আর একদল ওটিপি বিক্রি করে বলে জানা যায়। শুধুমাত্র সাধারণ কিছু অ্যাপ নয়, এ ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার কর্মীদের তথ্যও চুরি হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে।

আপাতত তদন্ত চলছে। মঙ্গলবারই ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজ্যে নিয়ে এসে বহরমপুর কোর্টে পেশ করা হবে তাঁকে।

Next Article