কলকাতা: আন্দোলনের হাজার দিন পার। ধর্মতলার ‘ধরনা-তলায়’ একরাশ হতাশা, আক্ষেপ নিয়ে চাকরিপ্রার্থী রাসমণির মুণ্ডন। তারপর আজ বিকাশ ভবনে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে বৈঠক করলেন চাকরিপ্রার্থীরা। আগামী ২২ ডিসেম্বর ফের পরবর্তী দফার বৈঠক রয়েছে। শেষ পর্যন্ত হাল কি ফিরবে? চাকরিপ্রার্থীদের মুখে কি হাসি ফুটবে? আজকের বৈঠকের পরও খুব একটা আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন না শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার। বলছেন, “এটা খুব হাস্যকর। মাথা ন্যাড়া হওয়ার পর তাঁদের দৃষ্টি আকর্ষিত হল। আমি খুব আশা দেখছি না। আদালতে যে অবস্থায় বর্তমানে রয়েছে, তার উপর অবৈধ চাকরি প্রাপকদের বরখাস্ত করে, তাঁদের জায়গায় নিয়োগ করা… এটা একটা দীর্ঘ প্রক্রিয়া। কিন্তু সরকারের টনক নড়েছে, এটাই আনন্দের কথা।”
আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের বৈঠকে ডাকা হলেও, ‘অযোগ্যদের’ না সড়িয়ে কীভাবে ‘যোগ্যদের’ নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হবে? শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকারের বক্তব্য, এভাবে সম্ভব নয়। বললেন, “প্রথমে ঝাঁট দিয়ে আবর্জনা পরিষ্কার করতে হবে, তারপর নতুন চারাগাছ পুঁততে হবে। যাঁরা যোগ্য, তাঁদের আনতে হবে।” তবে সাম্প্রতিক ঘটনা প্রবাহ যেভাবে বইছে, তাতে আশ্বস্ত হওয়ার জায়গা রাজ্য সরকার ‘কমিয়ে দিয়েছে’ বলেই ব্যাখ্যা করছেন পবিত্র সরকার।
উল্লেখ্য, সোমবার প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে বিকাশ ভবনে আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বৈঠকে ছিলেন অন্যান্য শিক্ষা কর্তারাও। এদিনের প্রাথমিক আলোচনা সদর্থক হয়েছে বলেই দাবি আন্দোলনকারীদের। এলএসএসটির নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশের ৫ হাজার ৫৭৮ জনকেই চাকরির আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে বৈঠক শেষে জানিয়েছেন আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা। এদিনের বৈঠকের পর নতুন করে আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন তাঁরা। এদিনের বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও আশাবাদী, আইনি যেসব জটিলতা রয়েছে, সেগুলি কেটে যাবে।