‘কৈলাশ ঘনিষ্ঠ রাকেশ সিং-কে যেন অ্যারেস্ট করা হয়’, বিস্ফোরক পামেলা
কেন্দ্রের তদন্তকারী সংস্থার উপরেই আস্থা নেই, সিআইডি (CID) তদন্ত চাইছেন নেত্রী (Pamela Goswami)।
এ দিন, আলিপুর আদালতে পেশ করা হয় পামেলা গোস্বামী ও তাঁর সঙ্গী প্রবীর কুমার দে’কে। দুজনকেই শুক্রবার গ্রেফতার করা হয়। লক আপে ঢোকার সময় পামেলা সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন, “আমি চাই সিআইডি তদন্ত হোক। কৈলাস বিজয়বর্গীয় ঘনিষ্ঠ রাকেশ সিং-কে যেন গ্রেফতার করা হয়, এটা আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত। আমার কাছে সমস্ত এভিডেন্স আছে।”
বিজেপি নেত্রী পামেলার গ্রেফতারি যখন শাসক তৃণমূলের কাছে বড় অস্ত্র হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে, ঠিক তখনই এমন বিস্ফারক দাবিতে রীতিমতো বেকায়দায় বিজেপি শিবির। বিশেষত এ রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের নাম উঠে আসায় জল্পনা ঘণীভূত হচ্ছে। এই ঘটনায় দিলীপ ঘোষ এর আগে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বলেছিলেন, “অনেক বিজেপি নেতাকেই গাঁজার মামলায় ফাঁসানো হয়েছে, তাই হতেই পারে এটাও ষড়যন্ত্র।” কিন্তু শনিবার পামেলার এই মন্তব্যের পর বিজেপির তরফে তেমন কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। দলের তরফে জানানো হয়েছে, এখনও অনেকগুলো বিষয় নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। বিজেপির আইনজীবীরা পামেলার সঙ্গে কথা বলছেন বলেও জানা গিয়েছে।
আরও উল্লেখযোগ্য হল, পামেলা বলেছেন, “আমি চাই সিআইডি তদন্ত হোক।” তদন্তকারী সংস্থা যতই নিরপেক্ষ হোক না কেন, বরাবরই রাজ্যের থেকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার উপরেই আস্থা দেখিয়ে থাকেন বিরোধী নেতা-নেত্রীরা। তবে এ ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম দেখা যাচ্ছে। বিজেপি নেত্রী হয়েও কেন কেন্দ্রীয় সংস্থার উপর আস্থা নেই তাঁর? তাহলে কি বিজেপি নেতার ঘনিষ্ঠের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলাতেই কেন্দ্রীয় সংস্থার প্রতি আস্থা রাখতে পারছেন না পামেলা, উঠছে এই অতিগুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নও।
এদিকে, পামেলার এই মন্তব্যে তৃণমূলের ষড়যন্ত্রের ছায়া দেখছেন বিজেপি নেতা রাকেশ সিং। TV9 বাংলা-কে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “এখন পামেলা দলে নেই, পুলিশের হেফাজতে আছে। এখন কলকাতা পুলিশ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক কিছু করাতে পারেন।” তাঁর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভা কেন্দ্রে থাকার জন্য তাঁকে ফাঁসানোও হতে পারে।
আরও পড়ুন: কৈলাশ বিজয়বর্গীয় ঘনিষ্ঠ রাকেশ সিংয়ের চক্রান্ত, গ্রেফতারি নিয়ে বিস্ফোরক পামেলা
এ দিন, আদালতে পামেলার আইনজীবীও ষড়যন্ত্রের ব্যাখ্যাই দিয়েছেন। জানিয়েছেন, তাঁর হাতে এখনও কেস ফাইল আসেনি। ইচ্ছাকৃত দেরি করা হচ্ছে বলে মনে করছেন তিনি। মেয়েকে ফাঁসানো হচ্ছে বলেও আদালতে জানিয়েছেন পামেলার মাও।