কলকাতা: কেন গ্রেফতার করার পর এফআইআর করা হল, তা নিয়ে আদালতে সওয়াল করলেন পামেলার আইনজীবী। তাঁর দাবি, পূর্বপরিকল্পনা করে ফাঁসানো হয়েছে পামেলাকে।
শনিবার বিজেপি নেত্রী পামেলা গোস্বামীর গ্রেফতারি নিয়ে আদালতে তীব্র বাকবিতণ্ডায় জড়ান দুই পক্ষের আইনজীবী। পামেলা গোস্বামী পক্ষের আইনজীবী অমলেন্দু রায় আলিপুর জেলা আদালতের বিচারক রানা দাম এর এজলাসে সওয়াল করেন, তাঁর মক্কেলকে পূর্বপরিকল্পনা করে ফাঁসানো হয়েছে। ভরা এজলাসে বিচারকের সামনে তাঁর আইনজীবীরা প্রশ্ন তোলেন, এফআইআর দায়ের করার আগেই কি করে একজনকে গ্রেফতার করতে পারে পুলিশ?
পুলিশের নথি অনুযায়ী ১৯ তারিখ বিকেল সাড়ে পাঁচটায় পামেলার গ্রেফতারি দেখানো হয়েছে। অথচ জেনারেল ডায়েরি দায়ের করা হয়েছে রাত সাড়ে ১১ টায়। তারপরে হয়েছে এফআইআর। এই সূত্র ধরেই অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীর প্রশ্ন, কি করে রাম জন্মাবার আগে রামায়ণ রচনার হয়ে গেল?
অভিযুক্তের আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন, তাঁর মক্কেলকে ধরার সময় কোন মহিলা পুলিশ কর্মী কেন ছিল না? এই প্রশ্নের উত্তরে তেমন কোনো সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে পারেনি সরকার পক্ষের আইনজীবী।
অন্যদিকে সরকার পক্ষের আইনজীবী আদালতে জানান, ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে সূত্র মারফৎ পুলিশ জানতে পারেন ১৯তারিখ বেলা ৪টে ৪৫ মিনিট নাগাদ একটি মাদক পাচারের ডিল হতে চলেছে কয়েক কোটি টাকার। সেই মতো আগে থেকে নিউ আলিপুর থানার পুলিশ এবং নারকোটিকস ব্যুরো অপেক্ষায় ছিল। পুলিশ প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং তারা অসংলগ্ন উত্তর দিলে, তার পর আটক করা হয়। পরে গ্রেফতারির মেমো দিয়েই গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন: পামেলা মাদকাসক্ত জানিয়ে আগেই লালবাজারের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নেত্রীর বাবা
শুক্রবার পামেলার সঙ্গে গ্রেফতার হয় তাঁর নিরাপত্তারক্ষী সোমনাথ চ্যাটার্জী ও আর এক সঙ্গী প্রবীর দে’কে। ২৫ প্যাকেট কোকেন উদ্ধার করা হয়। বিচারকের কাছে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানান সরকার পক্ষের আইনজীবী। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ধৃতদের।