কেশপুর : হাতে আর মাত্র কয়েক দিন। তারপরেই বেজে যাবে পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) রণদামামা। এরমধ্যেই পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে লাগাতার শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ সামনে আসছে। যার জেরে অস্বস্তি বেড়েছে ঘাসফুল শিবিরের। এদিকে ভোটে প্রার্থী কারা হবে তা নিয়ে তৃণমূলের (Trinamool Congress) অন্দরেও শুরু হয়ে গিয়েছে চাপানউতর। চলছে জল মাপার কাজ। কোথাও দলীয় কর্মীরাই ভোটাভুটি করে প্রার্থী বাছাইয়ের দায়িত্ব নিচ্ছেন, কোথাও আবার প্রার্থী ঠিক করতে ‘ভোট’ প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছেন একেবারে গ্রামবাসীরা। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত প্রার্থী ঠিক করবেন কে? কেশপুরের সভা থেকে উত্তর দিয়ে দিলেন তৃণমূল-কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। একইসঙ্গে গোষ্ঠীকোন্দল রুখতে দিলেন ‘কড়া’ বার্তা।
এদিন কেশপুরের সভা থেকে কোন্দল রুখতে অভিষেকের দাওয়াই, “যাঁরা ভাবছেন তৃণমূলকে ভুল বুঝিয়ে নির্বাচনের সময় এক কাজ করব, আর নির্বাচনের পরে আবার জামা পাল্টে তৃণমূল হয়ে তৃণমূলের চোখে ধুলো দিয়ে, মানুষকে বিভ্রান্ত করে স্বার্থ চরিতার্থ করতে যা ইচ্ছে তাই করে বেরাব। তাঁদের বলব সবার উপরে একটা অদৃশ্য চোখ আছে। নজর কিন্তু আমি রাখছি। কে কোথায় কী কাজ করছেন কী করছেন সব আমি খবর রাখছি। কোন প্রধান, কোন অঞ্চল সভাপতি কী কাজ করছেন সেই খবর আমার কাছে আছে। যাঁরা ভেবেছেন প্রার্থী হয়ে মানুষের কাজ করব না, যা ইচ্ছা তাই করে বেরাব, তাঁদের বিরুদ্ধে যা পদক্ষেপ গ্রহণ করার তা পার্টি ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে।”
এরপরই অভিষেক কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, “নেতাদের রেষারেষিতে যদি দলের মাথানত হয় তাহলে আমি কিন্তু ছেড়ে কথা বলব না। আমি সময় দিচ্ছি, এখনই শোধরান। নাহলে এমন ওষুধ প্রয়োগ করব সেই ওষুধে যখন কাজ হবে তখন আপনি আর শোধরানোর সময় পাবেন না। পঞ্চায়েতের প্রার্থী জেলা সভাপতি দেবে না, ব্লক সভাপতি দেবে না, প্রাক্তন সভাপতি দেবে না। পঞ্চায়েতের প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেবে। আমি কথা দিয়ে যাচ্ছি আপনাদের।” পাশাপাশি অভিষেকের স্পষ্ট বক্তব্য, “কোনও দাদার তল্পিবাহক হয়ে টিকিট পাওয়া যাবে না।” আগামী পাঁচ বছর যাঁরা মাথানত করে মানুষের জন্য কাজ করবে তাঁরাই পঞ্চায়েত ভোটে দাঁড়াবে।