কলকাতা : গ্রেফতার হওয়ার পর প্রথমে সিজিও কমপ্লেক্স ও পরে প্রেসিডেন্সি জেলে রাত কাটিয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আর এবার সিবিআই হেফাজত। রাত কাটল নিজাম প্যালেসে। তিনি একা নন, পাশের ঘরেই রাত কাটালেন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। শুক্রবার আদালতে সওয়াল-জবাব চলে বেশ কিছুক্ষণ। পরে তাঁদের ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য। ধকল গিয়েছে অনেক। কিন্তু রাতে নিজামের ঘরে ফেরার পর ঘমতে পারলেন না পার্থ! সূত্রের খবর, সারারাতে বারবার ঘুম ভেঙেছে তাঁর।
নিজাম প্যালেসের এসএসও বিল্ডিংয়ের ১৪ তলায় সিবিআই-এর গেস্ট রুমে রাখা হয়েছে পার্থ ও কল্যাণময়কে। পাশাপাশি দুটি ঘরে রয়েছেন তাঁরা। সূত্রের খবর, রাতে হাসপাতাল থেকে ফিরে এসে হালকা খাবার খান দুজনেই। কিন্তু রাতে একটানা ঘুমতে পারেননি পার্থ। জানা গিয়েছে, স্লিপ অ্যাপনিয়ার উপসর্গ রয়েছে তাঁর। তা সত্ত্বেও তাঁক নিজামে সেই বিশেষ যন্ত্রের ব্যবস্থা করে দিতে পারেনি সিবিআই। প্রতিদিন প্রচুর ওষুধ খান পার্থ। কিন্তু কোনটা কখন দিতে হবে, তা নাকি বুঝেই উঠতে পারেননি সিবিআই আধিকারিকরা। তাই রাতে ঘুমের অসুবিধা হয় পার্থর। শনিবার ভোরের দিকে কিছুটা ঘুম আসে তাঁর, ফলে ঘুম ভাঙতেও দেরি হয়।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দুজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। যে সময় দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ, সে সময় শিক্ষা মন্ত্রী ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আর সিবিআই-এর দাবি, যাঁদের যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ, তাঁদের নিয়োগপত্রে সই রয়েছেন কল্যাণময়ের। আদালতে অবশ্য দুজনেই জানিয়েছেন, তাঁদের কোনও ভূমিকা ছিল না ওই দুর্নীতিতে। তবে অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই। আগামী ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁদের সিবিআই হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে পার্থ ও কল্যাণময়কে। সেই প্রস্তুতিই এখন নিচ্ছে তদন্তকারী সংস্থার আধিতারিকেরা। পার্থ ও কল্যাণময় ছাড়াও এই মামলায় ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে তৎকালীন উপদেষ্টা কমিটির সদস্য শান্তিপ্রসাদ সিনহা ও অশোক সাহাকে।